এক পাঠকের দুটি কথা

এক পাঠকের দুটি কথা

সুব্রত কুমার দাস রচিত শ্রমলব্ধ ‘রবীন্দ্রনাথ: কম-জানা অজানা’ গ্রন্থখানি পাঠ করার সুযোগ আমার হয়েছে। ১০৪ পৃষ্ঠার বইটি পাঠ করে আমরা জানতে পারি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নামে এক বাঙালি কবিকে নিয়ে তৎকালীন পশ্চিমা বিশ্বের সারস্বত সমাজের আগ্রহ ও ভাবনা। মানব হৃদয়ের অলঙ্ঘনীয় বোধের নিপুণ রূপকার হিসেবে বাঙালি তো বটেই অপরাপর সংস্কৃতির মহৎ সৃষ্টির প্রতি আগ্রহ আছে এ রকম যে কোন ভাষাভাষীর রসিক জনের কাছেও এক বিস্ময় হিসেবে বিবেচিত হবেন বলে আমার ধারণা।

কম-জানা, অজানা রবীন্দ্রনাথ নিয়ে

কম-জানা, অজানা রবীন্দ্রনাথ নিয়ে

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একটি পৃথিবী। তাঁকে জানার যেন কোন শেষ নেই। শতবর্ষ-প্রাচীন রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে অত্যন্ত কৌতুহলউদ্দীপক অজানা তথ্য সুব্রত তাঁর সহজাত ও সরস ভাষায় পাঠকদের কাছে এই বইয়ের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। এটি পরিশ্রমসাধ্য গবেষণা গ্রন্থ কিন্তু একইসাথে সুন্দর সাহিত্যের দাবীদার অবশ্যই। বইটি রবীন্দ্র-গবেষণার নতুন আলোক উন্মোচিত করবে। যারা রবীন্দ্রনাথকে আবারও নব আঙ্গিকে আবিষ্কার করতে চান তাদের জন্য এই বইটি একটি অন্যতম মাইলফলক।

বহির্বিশ্বের অজানা রবীন্দ্রনাথ

বহির্বিশ্বের অজানা রবীন্দ্রনাথ

একজন মানুষের কতখানি ধৈর্য, প্রেম এবং অভিনিবেশ থাকলে পরে এমন একটি গ্রন্থ রচনা করা যায় রবীন্দ্রনাথ: কম-জানা, অজানা পাঠ না করলে অনুধাবনে সক্ষম হতাম না। গ্রন্থটির কলেবর ১০৪ পৃষ্ঠা মাত্র কিন্তু মনে হয় একটি বিশাল পৃথিবীকে ধারণ করে আছে! কিছু কাগজের মধ্যে এত বড় একটা অজানা রবীন্দ্র-নিখিলটাকে ধারণ করিয়ে রাখার কৃতিত্ব বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক সুব্রত কুমার দাসকে দিতেই হবে! তাঁকে বিশেষভাবে সাধুবাদ জানাই এই কারণে যে, কম-জানা, অজানা রবীন্দ্রনাথ বিষয়ক প্রসঙ্গগুলোকে গ্রন্থাগার ও ইন্টারনেট থেকে খুঁজে খুঁজে সেচে এনে যে মহাধৈর্যের সঙ্গে লিপিবদ্ধ করেছেন তাতে করে আমরা যারা রবীন্দ্রনাথকে একটু বেশিই ভালোবাসি তাদের জন্য এক মহার্ঘ্য। গতানুগতিক রবীন্দ্র-গবেষণার দিকে মানুষের এখন ঝোঁক কম।

কম-জানার অতৃপ্তি মেটে না কখনো

কম-জানার অতৃপ্তি মেটে না কখনো

ফ্রাঙ্কো ফারিনা- ইটালিয়ান ফিল্ম আর্কাইভের কিউরেটর। তাঁর সাথে বন্ধুত্ব নিশিথ সূর্যের দেশ অসলোতে ২০১০ সালের মে মাসে। পৃথিবীর ১১৪টি দেশের ফিল্ম আর্কাইভের নির্বাহীরা যোগ দিয়েছেন ‘ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম আর্কাইভস্’ (FIAF)-এর ৬৬তম কংগ্রেসে। কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের জন্য অসলো নগরীর মেয়র ৩রা মে তারিখে ঐতিহাসিক সিটি হলে এক সংবর্ধনার আয়োজন করেন। আমরা পায়ে হেঁটে চলেছি গন্তব্যের দিকে। কথা প্রসঙ্গে ফারিনা আমাদের বাঙালির গর্ব, নোবেল সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী কবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে নতুন নতুন অনেক তথ্য উপস্থাপন করে সবাইকে একবারে তাক লাগিয়ে দিতে শুরু করল। দলে উপস্থিত এশীয়দের মধ্যে আমিই একমাত্র বাঙালি, সুতরাং একটু অস্বস্তিতে ভুগছি।

রবীন্দ্র-অধ্যয়নে মূল্যবান সংযোজন

রবীন্দ্র-অধ্যয়নে মূল্যবান সংযোজন

রবীন্দ্রজন্মের সার্ধশত বৎসর পার হচ্ছে। রবীন্দ্রকৃতি নিয়ে স্বদেশে বিদেশে আজও চলছে অজস্র গ্রন্থ প্রকাশ। তাঁর শিল্প, সাহিত্য, সংগীত, রাজনীতি ও সমাজচিন্তা, কৃষি ও গ্রাম-সংস্কারের কাজ, শিক্ষাচিন্তা এমনি বহুমাত্রিক কর্মকাণ্ড ভাবিয়ে তুলছে বর্তমান প্রজন্মকেও। নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তি উপলক্ষে ইউরোপ ও আমেরিকায় যে অনুকূল ও প্রতিকূল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছিল তার কালানুক্রম অনেকেরই এখনো কম-জানা বা অজানা রয়ে গেছে। পুরস্কার প্রাপ্তির পর নিজ দেশের বাইরে অন্যান্য দেশে বিশ্বমানব রবীন্দ্রনাথের ধ্যান-ধারণা এবং সাহিত্যকর্ম কতখানি গৃহীত হয়েছিল তা এখনো দেশবাসীর কাছে অস্পষ্ট। রাজনৈতিক ঘূর্ণাবর্তও কখনো কখনো প্রবল হয়ে উঠেছিল। সুব্রত কুমার দাসের ‘রবীন্দ্রনাথ: কম-জানা, অজানা’ গ্রন্থটি এসব নিয়ে বহুতথ্য ও প্রমাণাদিসহ উপস্থাপন করেছে।