বাংলা কথাসাহিত্য: যাদুবাস্তবতা এবং অন্যান্য

বাংলা কথাসাহিত্য: যাদুবাস্তবতা এবং অন্যান্য

যাদুবাস্তবতার বিষয়টি বাংলা কথাসাহিত্যে সাম্প্রতিক এবং নতুন হলেও এর চর্চা, চর্যা ও আলোচনার গ-িটি সীমিত পরিসরে আর থাকেনি। গ্রন্থটির শিরোনামে যাদুবাস্তবতা বিষয়টি নজর কাড়লেও লেখকের উদ্দেশ্য কেবল এর মধ্যে সমীকৃত নয় বরং আরো বিস্তৃৃত পরিসরে বাংলা সাহিত্যের বহু ধারিক ও বহুধা বিভক্ত বিষয়গুলোকে গবেষণাধর্মী বর্ণনায় তুলে আনতে চেষ্টা করেছেন লেখক। বাংলা কথাসাহিত্যের অপ্রচলিত ধাপটাকে যেমন এখানে প্রমূর্ত মনে হয়, অন্যদিকে স্বল্পএজ অথচ ঋদ্ধিমান শিল্পপ্রকরণে আবিষ্ট এমন দু’একজন এই আলোচনায় স্থান পেয়েছে: যা পাঠককে নতুনত্বের স্বাদ দিতে সক্ষম হবে।

বাংলা কথাসাহিত্য যাদুবাস্তবতা এবং অন্যান্য

বাংলা কথাসাহিত্য যাদুবাস্তবতা এবং অন্যান্য

আধুনিককালে ‘সাহিত্য সমালোচনা’ সৃজনশীল সাহিত্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কথাশিল্পী তার সৃষ্টিতে গভীর মনোনিবেশ করেন এবং একজন সফল সমালোচক শিল্পীর সৃষ্টিতে বহুমাত্রিক দৃষ্টিনিবদ্ধ করেন। তাই সাহিত্য সমালোচনা নিঃসন্দেহে একটি সিরিয়াস মননশীল কাজ। এ প্রসঙ্গে T.S. Eliot বলেন- Criticism… must always profess an end in view, which, roughly speaking, appears to be the elucidation of works of art and the correction of taste.

কথাসাহিত্য বিবেচনায় ঘরোয়া মেজাজ

কথাসাহিত্য বিবেচনায় ঘরোয়া মেজাজ

বিশ শতকে কথাসাহিত্যের বিষয় ও পরিসর বিস্তৃত হয়েছে বিচিত্র মাত্রায়। বিবিধ নতুন অনুষঙ্গ এবং প্রযুক্তি কথাসাহিত্যের গতিমুখ আলোকিত করেছে যাদুবাস্তবতা তেমনি এক চমকপ্রদ অনুষঙ্গ ও শিল্প প্রকৌশল। বিশ্বসাহিত্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলা ভাষার কথাকারগণও বহুধা ভাবনায় কথাসাহিত্যের ভুবন সমৃদ্ধ করে চলেছেন। চিন্তা ও পরিসর প্রসারিত হবার সঙ্গে সঙ্গে কথাসাহিত্য বিচারে এবং মূল্যায়নেও যোগ হয়েছে অপরিচিত সব দৃষ্টিভঙ্গি। গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ (জ. ১৯২৮)-এর One Hundred Years of Solitude (নিঃসঙ্গতার এক শ’ বছর; রচনা ১৯৬৫, প্রকাশ ১৯৬৭) গ্রন্থটি ১৯৮২ সালে নোবেল পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হবার পর বিশ্বব্যাপী যাদুবাস্তবতার চিন্তা ও পাঠ ব্যাপকতর হতে থাকে।