কানাডীয় সাহিত্য নিয়ে প্রথম বাংলা গবেষণাগ্রন্থ

কানাডীয় সাহিত্য নিয়ে প্রথম বাংলা গবেষণাগ্রন্থ

কানাডার রাজনীতি, ব্যবসা, শিক্ষা, প্রশাসন, পুলিশ ও সামরিক বাহিনীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাঙালিরা এগিয়ে গেলেও এ দেশের সাহিত্য নিয়ে বাঙালিদের চিন্তাভাবনা খুব কমই চোখে পড়েছে। এমনি এক প্রেক্ষাপটে টরন্টোবাসী সুব্রত কুমার দাস রচিত ‘কানাডীয় সাহিত্য: বিচ্ছিন্ন ভাবনা’ গ্রন্থটি কানাডীয় সাহিত্যকে উদ্ভাসিত করবে বাংলাভাষী পাঠকদের মননজগতে। যদিও অল্প কয়েকজন বাংলাভাষী কানাডীয় সাহিত্যিক ইতিমধ্যে ইংরেজিতে গল্প, উপন্যাস, কবিতা, অনুবাদ ইত্যাদি বিষয়ে নিজেদের প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়েছেন, সমগ্র কানাডীয় সাহিত্যের একটি রূপরেখা তৈরি করে বাংলাভাষী পাঠক সমাজের কাছে উন্মোচিত করার কঠিন কাজটি সংশোধিত করার গরজ কেউ উপলব্ধি করেননি।

কানাডীয় সাহিত্য-  বিচ্ছিন্ন ভাবনাঃ সামাজিক প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য

কানাডীয় সাহিত্য- বিচ্ছিন্ন ভাবনাঃ সামাজিক প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য

বাংলা ভাষাভাষী পাঠকের বিশ্ব সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ কম নয়। বিশ্ব সাহিত্য আস্বাদনে বাঙালি পাঠকের মূল ভরসা বাংলায় অনুবাদ ও ইংরেজদের ঔপনিবেশিক শাসন সূত্রে লব্ধ ভাষা ইংরেজি রচনার মাধ্যমে। অন্য কোনো ভাষায় দখল সম্পন্ন বাঙালির সংখ্যা খুবই কম বলে সেসব ভাষার মূল রচনা থেকে পাঠের সুযোগ সীমিত অল্প কিছু মানুষের মধ্যে।

কানাডীয় সাহিত্যের পরিচয় ও সূত্রসন্ধান

কানাডীয় সাহিত্যের পরিচয় ও সূত্রসন্ধান

ইংরেজি সাহিত্যের একজন ছাত্র হিসেবে অ্যাকাডেমিক কোর্স/ পাঠ্যের সঙ্গে আমরা আমেরিকা এবং ইউরোপ মহাদেশের মহান সব কবি-সাহিত্যিকের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। আমাদের নিত্যদিনের পাঠ-পঠনে আফ্রিকান সাহিত্যের কিছুটা সন্ধান পাওয়া  গেলেও ‘কানাডিয়ান সাহিত্য’কে কোনোদিনই আলাদা করে শনাক্ত করতে পারিনি। বিশ্বসাহিত্যের উন্মুক্ত প্রান্তরে, উত্তর আমেরিকা থেকে শুরু করে ইউরোপ হয়ে দক্ষিণ এশিয়া মহাদেশের প্রজ্ঞাবান অধ্যাপকদের মুখে কানাডিয়ান সাহিত্যের বিস্ত‍ৃত ভা-ারের সন্ধান কেউ পেয়েছেন কিনা আমার সন্দেহ হয়। 

ভিনদেশি সাহিত্যের চক্রব্যুহ ভেদের কথা

ভিনদেশি সাহিত্যের চক্রব্যুহ ভেদের কথা

প্রাবন্ধিক ও গবেষক সুব্রত কুমার দাস ২০১৩ সালে কানাডা প্রবাসী হয়েছেন স্বপরিবারে। বাংলাদেশে থাকাকালীন নজরুল ও রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য ও জীবনী নিয়ে বিস্তর কাজ করেছেন। প্রবাস জীবনের রূঢ় বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে আর যাই হোক কেউ সেই দেশের সাহিত্যের রস আস্বাদন করবে সেটা ভাবা যায় না কিংবা এটাও ভাবা যায় না সেই সাহিত্য নিয়ে প্রবন্ধ-নিবন্ধ লেখার প্রাসঙ্গিকতা নিয়েও।

বিশাল কানাডার সাদৃশ্যস্বরূপ এর সাহিত্যের ভান্ডার

বিশাল কানাডার সাদৃশ্যস্বরূপ এর সাহিত্যের ভান্ডার

১৬২৮ সালে লন্ডন থেকে প্রকাশিত রবার্ট হেইম্যানের ‘কুয়োডলিবেটস’-কে বলা হয় কানাডার প্রথম কাব্যসৃষ্টি। এরপর ১৭৬৯ এর ‘দ্য হিস্ট্রি অব এমিলি মন্টেগু’ – ক্যানলিটের প্রথম উপন্যাস যার স্রষ্টা ফ্রান্সেস মুর ব্রুক। ১৯০৬ সালে টরন্টো থেকে আর্চিবল্ড ম্যাকমার্চি প্রকাশ করেন ‘হ্যান্ডবুক অব কানাডিয়ান লিটারেচার’। কানাডিয়ান সাহিত্য নিয়ে প্রকাশিত প্রথম কোন সহায়ক বই ছিল এটি!