অশ্বেত বিদেশি

অশ্বেত বিদেশি

স্যার বড় বড় চোখ করে খুব উৎসাহের সাথে যখন ঝর্ণা চ্যাটার্জী সম্পর্কে বলছিলেন, তখন তাঁর  অজান্তেই আমি বুঝেতে পেরেছিলাম তিনি এক দুর্লভ রত্নের সন্ধান পেয়েছেন। লেখক নয় বরং ব্যক্তি ঝর্ণা চ্যাটার্জীর সম্পর্কে জানার একটা তৃষ্ণা বোধ করতে থাকি। তাই যখন জানতে পারলাম তাঁর লেখা “একটি বাঙালী মেয়ের কানাডার জীবন- কাহিনী” স্যারের হাতে এসে পৌঁছেছে তখন আর লোভ সামলাতে পারলাম না। একটি কপি সংগ্রহ করলাম। এরপরে কোনও এক অলস দিনে বইটি খুলে যে হাতে নিলাম – একদম ব্যাক পেজের ঝর্ণা চ্যাটার্জীর সৌম্য মুখদর্শনের আগে আর নামিয়ে রাখতে পারলাম না। 

কানাডার জীবন নিয়ে এক বাঙালি মেয়ের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা

কানাডার জীবন নিয়ে এক বাঙালি মেয়ের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা

ইংরেজি প্রবন্ধকার ফ্রান্সিস বেকন  তাঁর  ‘অব স্ট্যাডিজ’ প্রবন্ধে বলেছেন যে, একটা ভালো বই পাঠককে আনন্দ দেয়, তার মানসিক উৎকর্ষ বৃদ্ধি করে এবং যোগ্যতা বাড়ায়। ড. ঝর্ণা চ্যাটার্জীর ‘একটি বাঙালি মেয়ের কানাডার জীবন কাহিনী’ পড়তে গিয়ে আমার উপরের কথাগুলো মনে পড়ছিল। বইটি আমার এত ভালো লেগেছে যে বলতে গেলে একদম না থেমে বইটি প্রথমবার আমি শেষ করেছি এবং কয়েকবার থেমে দ্বিতীয়বার শেষ করেছি।

ঝর্না চ্যাটার্জী : একজন বিদুষীর গল্প

ঝর্না চ্যাটার্জী : একজন বিদুষীর গল্প

দেখতে দেখতে কানাডাতে আসার ত্রিশ বছর হয়ে গেল। অথচ, মনে হয় এই তো সেদিন, সেপ্টেম্বর মাসের এক রৌদ্রকরোজ্জ্বল দুপুরে লণ্ডনের হিথ্রো এয়ারপোর্ট থেকে উড়ে, পুরো সময়টা আটলান্টিক মহাসাগরের উপর দিয়ে এসে সেদিন বিকেলেই টরন্টো পিয়ারসন্সে নামলাম। সময় কত দ্রুত চলে গেল! কত প্রিয় মুখ, কত প্রিয়জন, কত শ্রদ্ধেয়জন এই পৃথিবী থেকেই চিরতরে হারিয়ে গেলেন। রেখে গেলেন সারাজীবন বহন করে রাখার জন্য অমূল্য সব স্মৃতির সম্ভার!