অনুভবের বিভূতিতে এক সুখপাঠ্য আলোকিত রচনা

অনুভবের বিভূতিতে এক সুখপাঠ্য আলোকিত রচনা

একজন মানুষের মধ্যে একা একা আলো ধরা দেয় না। পারিবারিক ও পারিপার্শ্বিক শিক্ষা, স্কুল-কলেজের পাঠ ও সাহচর্য এবং সমৃদ্ধ মানুষের কাছ থেকে পাওয়া দর্শন ও সান্নিধ্য মানুষকে পরিণত করে তোলে। মানুষের অনুভূতিগুলোকে নাড়া দিতে সর্বাধিক অবদান রাখেন আলোকিত মানুষেরা তাদের দর্শন ভাবনা দিয়ে। এবং এই আলোকিত মানুষদের অন্তর্দৃষ্টির সঙ্গে বিনিসুতোর বন্ধন তৈরি করার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হলো তাদের লেখা বই।

আকবর হোসেনের ‘অনুভবের বিভূতিতে’ ঐশ্বরিক ভাবনার স্বতঃস্ফূর্ত কবিতা

আকবর হোসেনের ‘অনুভবের বিভূতিতে’ ঐশ্বরিক ভাবনার স্বতঃস্ফূর্ত কবিতা

‘আত্মপরিচয়’ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, ‘যেটা লিখিতে যাইতেছিলাম সেটা সাদা কথা, সেটা বেশি কিছু নহে – কিন্তু সেই সোজা কথা, সেই আমার নিজের কথার মধ্যে এমন একটা সুর আসিয়া পড়ে, যাহাতে তাহা বড় হইয়া ওঠে, ব্যক্তিগত না হইয়া বিশ্বের হইয়া ওঠে।’ মহৎ সাহিত্যকর্মগুলি অনেক সময়ই লেখকের ব্যক্তিগত গল্প। কিন্তু সেই গল্প বলার দক্ষতা ও দর্শনের বিচারে সেটি মহৎ সাহিত্যকর্ম হয়ে উঠে। আকবর হোসেনের ‘অনুভূবের বিভূতিতে’  গ্রন্থটিতে তাঁর নিজের জীবন ও কাছাকাছি থাকা মানুষদের জীবনের গল্পের দার্শনিক প্রকাশ ঘটেছে। লেখকের জ্ঞান, প্রজ্ঞা , উপস্থাপন-কৌশল ও ভাষা দক্ষতার কারণে এইসব ব্যক্তিগত ঘটনাগুলি হয়ে উঠেছে নৈর্ব্যক্তিক।