‘শ্রীচৈতন্যদেব’: একটি সমীক্ষা

‘শ্রীচৈতন্যদেব’: একটি সমীক্ষা

গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্ম ও ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের বৈষ্ণবধর্মের মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে এবং সে বৈশিষ্ট্য শ্রীচৈতন্যদেবকে কেন্দ্র করে বিবর্তিত হয়েছে। ঈশ্বর যেখানে ‘বজ্রাদপি কঠোরাণি’ সেখানে তিনি ভক্তির পাত্র নন, ভীতির পাত্র। যেখানে তিনি ‘মৃদুনি কুসুমাদপি’ সেখানে তিনি রসময়, অর্থাৎ ভক্তি ও প্রেমের ঘনীভূত সত্তা। প্রেমের এই নিগূঢ় তত্ত্ব ব্যাখ্যা সাপেক্ষ নয়, অনুভূতিবেদ্য। জ্ঞানমার্গ সাধারণ মানুষের সহজগম্য নয়। ভক্তিমার্গ সহজতর বিকল্প। শ্রীচৈতন্য মানুষকে দেখিয়েছেন ভক্তিমার্গের পথ।

শ্রীচৈতন্যদেব গ্রন্থের ওপর আলোকপাত

শ্রীচৈতন্যদেব গ্রন্থের ওপর আলোকপাত

“বাঙালির হিয়া অমিয় মথিয়া নিমাই ধরেছে কায়া” – বাঙালির এমন নিমাই শ্রীচৈতন্যদেবকে নিয়ে টরন্টোবাসী লেখক ও গবেষক সুব্রত কুমার দাসের বড়ো আদর, বড়ো শ্রদ্ধা, ভক্তি ও ভালোবাসা দিয়ে লেখা গ্রন্থ শ্রীচৈতন্যদেব। গ্রন্থের মর্মমূলে প্রবেশ করার পূর্বে গ্রন্থের ‘প্রাককথন’-এ উল্লিখিত গোঁসাই দাদুর রূপ-মাধুর্যে এবং জাগতিক ও আধ্যাত্মিক গুণ মাধুর্যে মুগ্ধ লেখক তাঁর গোঁসাই দাদুর প্রতি আশৈশবের শ্রদ্ধা, ভক্তি, প্রেম, ভালোবাসাকে যে বাণী মাধুর্যে বন্ধন করেছেন, তা পাঠ করে আমার অনুভব ও উপলব্ধির জগতে এক অপার্থিব আনন্দ উদ্বেলিত হয়ে উঠেছে।