আকবর হোসেনের ‘অনুভবের বিভূতিতে’ ঐশ্বরিক ভাবনার স্বতঃস্ফূর্ত কবিতা

আকবর হোসেনের ‘অনুভবের বিভূতিতে’ ঐশ্বরিক ভাবনার স্বতঃস্ফূর্ত কবিতা

‘আত্মপরিচয়’ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, ‘যেটা লিখিতে যাইতেছিলাম সেটা সাদা কথা, সেটা বেশি কিছু নহে – কিন্তু সেই সোজা কথা, সেই আমার নিজের কথার মধ্যে এমন একটা সুর আসিয়া পড়ে, যাহাতে তাহা বড় হইয়া ওঠে, ব্যক্তিগত না হইয়া বিশ্বের হইয়া ওঠে।’ মহৎ সাহিত্যকর্মগুলি অনেক সময়ই লেখকের ব্যক্তিগত গল্প। কিন্তু সেই গল্প বলার দক্ষতা ও দর্শনের বিচারে সেটি মহৎ সাহিত্যকর্ম হয়ে উঠে। আকবর হোসেনের ‘অনুভূবের বিভূতিতে’  গ্রন্থটিতে তাঁর নিজের জীবন ও কাছাকাছি থাকা মানুষদের জীবনের গল্পের দার্শনিক প্রকাশ ঘটেছে। লেখকের জ্ঞান, প্রজ্ঞা , উপস্থাপন-কৌশল ও ভাষা দক্ষতার কারণে এইসব ব্যক্তিগত ঘটনাগুলি হয়ে উঠেছে নৈর্ব্যক্তিক।

হে মহাজীবন – এক গৃহস্থ সন্ন্যাসীর আত্মকথন

অন্য যে কোন গ্রন্থ আলোচনা যতটা নির্মোহভাবে করা সম্ভব, জীবনীগ্রন্থ নিয়ে ঠিক তেমনটা করা চলে না – যেহেতু এখানে লেখক নিজেই তার রচনার প্রধান চরিত্র। কিন্তু, বর্তমান গ্রন্থটির ক্ষেত্রে কাজটা তেমন কঠিন নয়। কারণ, আলোচ্য গ্রন্থটির লেখক একজন অত্যন্ত নির্মোহ, নির্গ্রন্থ মানুষ। তাঁর জীবনের কর্মসূত্রই হচ্ছে নিঃস্কাম কর্ম। কাজের বিনিময়ে যিনি ফলের আশা করেন না, সংসারে যিনি থেকেও নেই তাঁকে কোনভাবেই বিব্রত করা যায় না।