মম কাজীর অনুবাদে ‘চড়ুই’

মম কাজীর অনুবাদে ‘চড়ুই’

কবি আলবার্ট ফ্যাঙ্ক মারিৎজ, কানাডার বহুল পরিচিত একজন কবি। তিনি নির্বাহী সম্পাদক, প্রকাশক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করেছেন। ১৯৪৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯০ সালে গুগেনহেইম ফেলোশিপ পান – কবিতার জন্য । ওর কবিতা প্রিন্সটন সিরিজ কনটেম্পোরারি পোয়েটসে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ২০০৫ সালে কবিতার জন্য রিলিট পুরস্কার, ২০০৯ সালে গ্রিফিন কবিতা পুরস্কার এবং ২০১৩ সালে রেমন্ড সাউস্টার পুরস্কার বিজয়ী।

অশ্বেত বিদেশি

অশ্বেত বিদেশি

স্যার বড় বড় চোখ করে খুব উৎসাহের সাথে যখন ঝর্ণা চ্যাটার্জী সম্পর্কে বলছিলেন, তখন তাঁর  অজান্তেই আমি বুঝেতে পেরেছিলাম তিনি এক দুর্লভ রত্নের সন্ধান পেয়েছেন। লেখক নয় বরং ব্যক্তি ঝর্ণা চ্যাটার্জীর সম্পর্কে জানার একটা তৃষ্ণা বোধ করতে থাকি। তাই যখন জানতে পারলাম তাঁর লেখা “একটি বাঙালী মেয়ের কানাডার জীবন- কাহিনী” স্যারের হাতে এসে পৌঁছেছে তখন আর লোভ সামলাতে পারলাম না। একটি কপি সংগ্রহ করলাম। এরপরে কোনও এক অলস দিনে বইটি খুলে যে হাতে নিলাম – একদম ব্যাক পেজের ঝর্ণা চ্যাটার্জীর সৌম্য মুখদর্শনের আগে আর নামিয়ে রাখতে পারলাম না। 

কানাডার জীবন নিয়ে এক বাঙালি মেয়ের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা

কানাডার জীবন নিয়ে এক বাঙালি মেয়ের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা

ইংরেজি প্রবন্ধকার ফ্রান্সিস বেকন  তাঁর  ‘অব স্ট্যাডিজ’ প্রবন্ধে বলেছেন যে, একটা ভালো বই পাঠককে আনন্দ দেয়, তার মানসিক উৎকর্ষ বৃদ্ধি করে এবং যোগ্যতা বাড়ায়। ড. ঝর্ণা চ্যাটার্জীর ‘একটি বাঙালি মেয়ের কানাডার জীবন কাহিনী’ পড়তে গিয়ে আমার উপরের কথাগুলো মনে পড়ছিল। বইটি আমার এত ভালো লেগেছে যে বলতে গেলে একদম না থেমে বইটি প্রথমবার আমি শেষ করেছি এবং কয়েকবার থেমে দ্বিতীয়বার শেষ করেছি।

ঝর্না চ্যাটার্জী : একজন বিদুষীর গল্প

ঝর্না চ্যাটার্জী : একজন বিদুষীর গল্প

দেখতে দেখতে কানাডাতে আসার ত্রিশ বছর হয়ে গেল। অথচ, মনে হয় এই তো সেদিন, সেপ্টেম্বর মাসের এক রৌদ্রকরোজ্জ্বল দুপুরে লণ্ডনের হিথ্রো এয়ারপোর্ট থেকে উড়ে, পুরো সময়টা আটলান্টিক মহাসাগরের উপর দিয়ে এসে সেদিন বিকেলেই টরন্টো পিয়ারসন্সে নামলাম। সময় কত দ্রুত চলে গেল! কত প্রিয় মুখ, কত প্রিয়জন, কত শ্রদ্ধেয়জন এই পৃথিবী থেকেই চিরতরে হারিয়ে গেলেন। রেখে গেলেন সারাজীবন বহন করে রাখার জন্য অমূল্য সব স্মৃতির সম্ভার!

অতনু দাশ গুপ্তের কানাডার পথ ও রথের বৃত্তান্ত

অতনু দাশ গুপ্তের কানাডার পথ ও রথের বৃত্তান্ত

অনেক আগ্রহ নিয়ে অতনু দাশ গুপ্তের লেখা ও আমাকে ভালবেসে উপহার দেওয়া ‘কানাডার পথ ও রথ’ বইটি পড়ে শেষ করলাম। কানাডাতে নবাগত যারা, যারা প্রথম থেকেই কাজের অফার নিয়ে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিচিং অথবা রিসার্চ এ্যাসিস্ট্যান্টশিপের রক্ষাকবচ নিয়ে আসেননি, তাদের জন্য এই বইটি অবশ্য-পাঠ্য বলে মনে হলো।

গ্রন্থালোচনা: ‘গহিন দহনে গাহন’

গ্রন্থালোচনা: ‘গহিন দহনে গাহন’

সুজিত কুসুম পাল কবি চয়ন দাস ‘দিবা রাত্রি’ পথ চলেছেন ‘সকাল বেলার সূর্যালোকে’। কখনো ‘দুপুর বেলার রৌদ্রতাপে’ কিংবা ‘সন্ধ্যা বেলায় ইমন রাগে’। কালের অভিবাসকে অতিক্রম করে ‘দিন আর রাতের মিলন মেলায়’ নির্মাণ করেছেন ‘শ্যামল ছায়ায় কোমল মায়ায় স্বর্গ সুখের বাড়ি’। পরক্ষণেই কবি তাঁর স্বপ্নের বাড়ি থেকে বের হয়ে আশ্রয় নিয়েছেন…

হে মহাজীবন- গ্রন্থ পর্যালোচনা

হে মহাজীবন- গ্রন্থ পর্যালোচনা

মানসী সাহা মুক্তচিন্তক ও দার্শনিক আকবর হোসেন মনের মাধুরী মিশিয়ে সততার দলিল হিসেবে রচনা করছেন একটি বিশুদ্ধ আত্মজীবনী “হে মহাজীবন”। ​​কলকাতার ঋতবাক থেকে প্রকাশিত ১৮৩ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থটি (২০১৯) বাংলা ভাষায় রচিত অন্যতম আত্মকথন বলে আমি মনে করি। অত্যন্ত চমৎকার ও তাৎপর্যপূর্ণ একটি প্রচ্ছদ করেছেন সৌম্য ব্যানার্জি। ধূসর রঙের আঁচড়ে…

পাহাড়চূড়া ছোঁয়ার গল্প ‘স্বপ্নের ইমিগ্রেশন’

পাহাড়চূড়া ছোঁয়ার গল্প ‘স্বপ্নের ইমিগ্রেশন’

সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর চিৎকারে যন্ত্রণা থাকে … নাকি থাকে আনন্দ? এই প্রশ্নের কোন সর্বজনগৃহীত উত্তর জানা না গেলেও একথা অনস্বীকার্য যে সৃষ্টিতে আনন্দ থাকলেও তার শুরুটা হয় যন্ত্রণা দিয়ে। সেই যন্ত্রণা কিছুটা প্রকাশিত হয়, কিন্তু অনেকটাই আবার অজানা থেকে যায়। নতুনদেশ কানাডাতে বাস করতে আসা তমাল আর তিথির নতুন জীবন গড়ার আনন্দ-বেদনা, জয়-পরাজয় আর পাওয়া না-পাওয়ার গল্প নিয়ে উপন্যাস জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিনের ‘স্বপ্নের ইমিগ্রেশন’। দেশে-বিদেশে, অতীতে বা বর্তমানে জীবন কখনোই কুসুমাস্তীর্ণ নয়। কন্টকময় পথে হেঁটে রক্তাক্ত পায়ে যারা উঠে দাঁড়ায়,  তারাই পাহাড়চূড়া ছুঁতে পারে। হিন্দি প্রবাদ আছে ‘যো জিতা ওহি সিকান্দার’।  নতুন দেশে বাস করতে আসা অভিবাসীদের তাই সকল বৈচিত্র্য মেনে নিয়ে, সকল আঘাত সহ্য করে এগুতে হয় এবং একই সাথে নিজেকে গড়ে নিতে হয় নতুন করে। তখনই কেবল স্বপ্ন রূপ নেয় বাস্তবতায়।   

অটিসম কোনো অভিশাপ নয় একটি সময়োপযোগী গ্রন্থ

অটিসম কোনো অভিশাপ নয় একটি সময়োপযোগী গ্রন্থ

বিজ্ঞান প্রতিদিন এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাচ্ছে চিকিৎসাশাস্ত্র। আর তাই মনের রোগ আর শরীরের রোগ এখন আলাদা করেই নির্ণয় করা হচ্ছে। মনের রোগ নিয়ে কাজ করতে গিয়েই মানুষের একটি বিশেষ মানসিক গঠনের সাথে বিজ্ঞানীদের পরিচয় হয়।এই মানসিক গঠনটি যাদের থাকে তাদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। এই বাধাগ্রস্ততাকে অটিসম বলে। অটিসম কোনো রোগ নয়, এটি একটি বিশেষ মানসিক গঠন। কাজেই এটি শতভাগ নিরাময়ের কোনো ওষুধ না থাকার কারনে থেরাপির মাধ্যমে সমস্যাক্রান্ত ব্যক্তিকে স্বাভাবিক জীবন যাপনের উপযুক্ত রাখার ব্যবস্থা করা হয়।

স্বপন বিশ্বাসের ‘কুড়াই পথের নুড়ি’- ভ্রমণের ছোটগল্প

স্বপন বিশ্বাসের ‘কুড়াই পথের নুড়ি’- ভ্রমণের ছোটগল্প

সাহিত্যিক আনন্দের পাশাপাশি নতুন কোনো স্থানের ভৌগোলিক বিবরণ, ইতিহাস, স্থানটির সামাজিক রীতিনীতি, মানুষের জীবনযাত্রা ও আরও অনেক তথ্য জানার সুযোগ করে দেয়ার মাধ্যমে ভ্রমণ সাহিত্য ধীরে ধীরে আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৯০ সালে মা সারদাকে প্রণাম করে তাঁর ভ্রমণ শুরু করেন। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদিগকে ভ্রমণ করিতেই হইবে, আমাদিগকে বিদেশ যাইতেই হইবে … যদি আমাদিগকে যথার্থই পুনরায় একটি জাতিরূপে গঠিত হইতে হয়, তবে অপর জাতির চিন্তার সহিত আমাদের অবাধ সংস্রব রাখিতেই হইবে।’ স্বামীজীর এই বাণীর মর্মকথায় আছে ভ্রমণের অনুপ্রেরণা ও আব্যশিকতা। একারণেই ভ্রমণকে 

ননী গোপাল দেবনাথের কানাডা নিয়ে বই

ননী গোপাল দেবনাথের কানাডা নিয়ে বই

নাগরিক সুবিধা, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, শিক্ষার সুব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবার মান, লিঙ্গসমতা, জননিরাপত্তা, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা প্রভৃতিসহ আরো বেশ কিছু আন্তর্জাতিক পরিমাপ মানদণ্ডের ভিত্তিতে কানাডা বিশ্বের অন্যতম বাসযোগ্য দেশ। দেশটির শিশুজন্মহার নিম্নগামী হওয়ায় সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মাধ্যমে কানাডা অন্যান্য দেশ থেকে প্রতিবছর অভিবাসী গ্রহণ করে থাকে। তাই প্রতিবছর বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বহু মানুষ কানাডায় এসে স্থায়ী বসতি স্থাপন করে। এছাড়াও কানাডা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক বা মানবিক বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আপদকালীন সহায়তা প্রদানসহ দীর্ঘমেয়াদি সহাযতা প্রদান করে সুনাম অর্জন করেছে। ফলে কানাডা সম্পর্কে বাঙালি পাঠকের আগ্রহ অপরিসীম এবং প্রতিনিয়তই এই আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কাজী হেলালের কবিতায় ইতিহাস

কাজী হেলালের কবিতায় ইতিহাস

চেতনায় উজ্জ্বল উদ্দীপনা আর মগজের কোষে ছড়িয়ে থাকা ঘটনা প্রবাহকে হৃদয়ের আবেগ আর ভালবাসা দিয়ে একসাথে গেঁথে কবিতায় প্রকাশ করতে পারেন কাজী হেলাল। কবিতায় ইতিহাস উপস্থাপন বিষয়টি নিয়ে কবি টি এস এলিয়ট ‘ট্র্যাডিশন এন্ড দ্যা  ইন্ডিভিজুয়াল ট্যালেন্ট’ (Tradition and the Individual Talent) প্রবন্ধে বলেছেন ‘যদিও সমসাময়িক ঐতিহাসিক বোধ অস্থায়ী, কিন্তু এই উপাদানটিই একজন লেখককে ঐতিহ্যগত করে তোলে এবং একইসাথে এটিই একজন লেখককে সময়ের সাথে তার স্থান সম্পর্কে, তার নিজের সমসাময়িকতা সম্পর্কে সবচেয়ে তীব্রভাবে সচেতন করে তোলে’ কাজেই আধুনিক সচেতন মানুষ যখন সাহিত্য রচনা করেন, সেই সাহিত্যে সমকালীন ইতিহাস ছায়া ফেলে; লেখক যে সময়ে বাস করেন, সেই সময়টিই লেখকের লেখায় জীবন্ত হয়ে ওঠে।