ভুল শরীরে বসবাস

ভুল শরীরে বসবাস

ভুল তো ভুলই। জীবমাত্রই ভুল করতে পারে। মানুষ যদি ভুল করে, আর সে ভুল সে বুঝতে পারে, সে ভুল শুধরানোর সুযোগটি তাকে করে দেয়া উচিত। অনেক সময় নিজে ভুল না করেও, পারিবারিক কিংবা সামাজিক চাপে পড়ে মানুষকে ভুল জীবন যাপন করতে হয়। তাদেরকে অভিশাপ না দিয়ে, খারাপ মন্তব্য না করে, আসুন, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই। উন্নত বিশ্বে মানুষ যত সহজে এ ব্যাপারটিকে মেনে নেয়, আমাদের তৃতীয় বিশ্বের মানুষেরা সেই বিষয়গুলো সাধারণত ততটা সহজভাবে মেনে নেয় না।

কানাডার গণমাধ্যম

কানাডার গণমাধ্যম

কানাডার গণমাধ্যম অত্যন্ত স্বায়ত্তশাসিত, সেন্সরবিহীন, বৈচিত্র্যময় এবং বেশ আঞ্চলিক। কানাডার মিডিয়া সেক্টরটি খুবই উন্নত তবে এর সাংস্কৃতিক ভাবধারা বিশেষ করে ইংরেজি চলচ্চিত্র, টেলিভিশন শো এবং ম্যাগাজিনে প্রায়ই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ছাপ পাওয়া যায়। ফলে কানাডার বহুল সংস্কৃতিকে সংরক্ষণের দায়িত্ব ফেডারেল সরকারের বিভিন্ন প্রোগ্রাম, আইন এবং প্রতিষ্ঠান যেমন কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (CBC), কানাডার ন্যাশনাল ফিল্ম বোর্ড (NFB), এবং কানাডিয়ান রেডিও-টেলিভিশন এবং টেলিকমিউনিকেশনস কমিশন (CRTC) এর ওপর বর্তায়।

কানাডায় নতুন জীবন

কানাডায় নতুন জীবন

কোনো মানুষ যখন যে কোনও বিষয়ে তার মনস্থির করে ফেলে তখন কিন্তু তার বাইরে চিন্তা করা থেকে দূরে সরে যায়। এটা যে কোনও ক্ষেত্রেই হতে পারে – সম্পর্কের ক্ষেত্রেই বলুন বা প্রফেশনাল ক্ষেত্রেই বলুন। আপনার আত্মবিশ্বাস যখন খর্ব হয় তখন জীবনের অনেক কিছুই হারিয়ে যায়। আমি মনস্তাত্বিকও নই বা কোনও আইনজীবীও নই। শুধু নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু শেয়ার করার প্রয়াশ মাত্র। এটা বলার কারণ একটা বয়সে সবার মনই একটু দোদুল্যমান হয়ে থাকে।

কানাডাতে সাম্প্রতিক অভিবাসন ও নানাবিধ সমস্যা

কানাডাতে সাম্প্রতিক অভিবাসন ও নানাবিধ সমস্যা

সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশ থেকে দলে দলে সাধারণ মানুষ কানাডা এসেছেন। এই আগমন অব্যাহত আছে। আগমনের মূল উদ্দেশ্য অর্থ উপার্জন। তারপর উন্নত জীবন যাপন এবং পরিবার-পরিজন নিয়ে কানাডায় স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন। অনেক আগে থেকেই কানাডাতে লোকজন আসা শুরু হলেও এবারের আগমন কিছুটা ভিন্ন রকমের। সহজে ভিজিট ভিসা পাওয়াকে কেন্দ্র করে আগমনের গতি অধিক বেগবান হয়েছে। আমাদের দেশের মানুষ কানাডা সম্পর্কে যে ধারণা পোষণ করে থাকেন তা অত্যন্ত ইতিবাচক ও রঙিন।

কানাডায় একাকীত্ব – এক নিরব মহামারী

কানাডায় একাকীত্ব – এক নিরব মহামারী

কেউ কি আছ? এক বিশাল বাড়ীর প্রাচীরে প্রতিফলিত হয়ে আমার কথাগুলো ফিরে ফিরে আসে। অবিন্যস্ত বাগানের বৃক্ষ-লতারা আমার দিকে বিহ্বল হয়ে থাকিয়ে থাকে। অদূরে ঝাউ গাছগুলো বাতাসে দুলে  মাথা নাড়িয়ে বলে – নেই, কেউ নেই, এখানে কেউ থাকে না। গ্রীষ্মের তাপস্পর্শে এখানে সেখানে মাথা তুলে দাড়িয়ে আছে বেশ কিছু সতেজ পিয়নি। মাথায় তাদের ফুলের উদ্ভাস। আমরা একদিন এ পথ দিয়ে যেতে ওর মনোলোভা সৌন্দর্যের আকর্ষণে বাঁধা পড়েছিলেম। তাকিয়ে ছিলেম  অনেকক্ষণ।

কানাডায় সাহিত্য উৎসব

কানাডায় সাহিত্য উৎসব

জনসমাজ অর্থাৎ পাঠক বা শ্রোতৃমণ্ডলীর মধ্যে সাহিত্যকারদের ভূমিকা কী, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিশিষ্ট আদি কানাডীয় লেখক রিচার্ড ভ্যান ক্যাম্প একটি খুব সুন্দর কথা বলেন। “প্রতিটি প্রকাশিত লেখা এক একটি আলোর তীর, যা পৃথিবীর কোন কোনায় কোন পাঠকের মননে গিয়ে বিঁধবে তা লেখকরা জানেন না। জানার দরকারও নেই। যা প্রয়োজন তা হলো লেখক হিসেবে নিজের রচনাকে বিশ্বাস করা, সেটার কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পন করা।

কানাডায় সুরসঙ্গম

কানাডায় সুরসঙ্গম

সংস্কৃতির অন্য যে কোনো শাখার মতো সঙ্গীত এবং তার বিবর্তন  সমাজ এবং বিভিন্ন সামাজিক ঘটনা দ্বারা প্রভাবিত। কানাডার সাঙ্গিতিক ঐতিহ্য গঠনে প্রাথমিকভাবে নেটিভ কানাডিয়ান, আইরিশ, ব্রিটিশ ও ফরাসি প্রত্যেক জাতির অভিবাসীদের অবদান অনন্য ও অনস্বীকার্য। ভৌগোলিক অবস্থানের নৈকট্যের কারণে মার্কিন সংস্কৃতির প্রভাবও লক্ষ্য করা যায়। পরবর্তী কালে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন জাতির বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষ কানাডায় অভিবাসী হয়ে এসে পাকাপাকি ভাবে থাকতে শুরু করেছেন।

কানাডীয় চলচ্চিত্র

কানাডীয় চলচ্চিত্র

বেশ কয়েক বছর আগে কানাডার একটি কাহিনিচিত্র দেখে চমকে উঠেছিলাম। ‘আটানারজুয়াট: দ্য ফাস্ট রানার’ নামের ছবিটি দেখার আগ পর্যন্ত আমার ধারণা ছিল হলিউডি ছবির জৌলুস ও দাপটের কাছে কানাডার ছবি দাঁড়াবার যোগ্য নয়। কিন্তু এই ছবিটি দেখার পর আমার সেই ধারণা ভেঙে গেলো। ছবিটির  কাহিনির অভিনবতা এবং নির্মাণের চমৎকারিত্ব আমাকে মোহিত করে দিলো।

কানাডার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা

কানাডার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা

কবির ভাষায় জীবন বহতা নদীর মত। জোয়ারভাটার এই জীবনের নানা ঘটনার ঘনঘটার সাথে  ওতপ্রোতভাবে জড়িত সুস্থ থাকা বা অসুস্থতার সময়কাল। খাদ্য, বস্ত্র, আশ্রয়ের মত মানুষের মৌলিক চাহিদার সাথে স্বাস্থ্য সুরক্ষা তার মৌলিক জন্ম অধিকার। স্বাসাস্থ্যসেবা কথাটির ব্যপকতা বিশাল কিনতু এর মূল ভিত্তি  হলো জনগনের স্বাস্হ্য রক্ষার দায়িত্ব তার রাষ্ট্রের। স্বাস্হ্য সেবা জনগনের অধিকার। আর স্বাস্হ্য সেবা ব্যবস্হা শুধু চিকিৎসাতেই সীমাবদ্ধ নয়, রোগ প্রতিরোধ, প্রতিষেধকসহ, স্বাস্হ্য সমস্যার বিভিন্ন পুর্নবাসন প্রক্রিয়া  এবং স্বাস্হ্য বিষয়ক গবেষণা এর আওতাধীন। সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকে বিশ্বে স্বাস্হ্য সেবা ব্যবস্হার এটাই আধুনিক সংজ্ঞা। 

কানাডায় মানবাধিকার: চ্যালেঞ্জ এবং উত্তরণ

কানাডায় মানবাধিকার: চ্যালেঞ্জ এবং উত্তরণ

দুই যুগ আগেও কানাডা নামক দেশটি নিয়ে মানুষের মধ্যে তেমন আগ্রহ ছিল না যেমনটা ছিল আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য কিংবা লন্ডনের প্রতি। কিন্তু এখন সেটা বদলে গেছে অনেকটাই – বর্তমান সময়ে স্থায়ী অভিবাসন, উচ্চতর শিক্ষা, ভ্রমণ কিংবা চাকুরি – সব ক্ষেত্রেই মানুষের অন্যতম পছন্দের দেশটি হচ্ছে কানাডা। নানা কারণে কানাডায় আসার জন্য মানুষের আগ্রহের ইতিহাস দীর্ঘ। এবং বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন কারণে সেই আগ্রহের মাত্রা নানাভাবে প্রভাবিত হয়েছে।

রূপকথা আর সাহিত্যে কানাডার ফুল

রূপকথা আর সাহিত্যে কানাডার ফুল

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর জিনিসগুলোর মধ্যে ফুল অন্যতম। ফুলের জন্য রয়েছে মানুষের অপরিসীম মুগ্ধতা। তাই সকল পবিত্র ও সুন্দরের সাথে ফুলের তুলনা করা হয়। পবিত্র কোরানে বেহেস্তের সৌন্দর্য বর্ণনায় ফুলের উল্লেখ করা হয়েছে। সকল দেবতাকে তুষ্ট করতে ফুল দিয়েই পূজা করা হয়। কবির গানে প্রিয়ার জন্য থাকে ফুলের উপমা। সামাজিক সকল আয়োজনে ফুলের জন্য রয়েছে বিশেষ স্থান। উন্নত দেশগুলোতে সিটি করর্পোরেশন সারা বছর ফুল দিয়ে শহরসজ্জার জন্য বড় বাজেট বরাদ্দ করে থাকে। শুধু তাই নয়, সামান্য আয়ের মানুষরাও তাদের বাড়ির বাগান সাজিয়ে তোলেন অনেক রকম ফুলে যার জন্য ব্যয় হয় অনেক অর্থ ও শ্রম।

কানাডিয়ান ফুল উৎসব: প্রকৃতির রঙের মেলা

কানাডিয়ান ফুল উৎসব: প্রকৃতির রঙের মেলা

কানাডা এক বিস্তৃত ভূখণ্ড, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যময় ঋতুচক্রের জন্য বিখ্যাত। এখানকার শীতকাল দীর্ঘ ও তীব্র হলেও, বসন্ত এবং গ্রীষ্মকালে প্রকৃতি যেন নতুন জীবন ফিরে পায়। এই সময়ে কানাডার বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠিত হয় ফুল উৎসব, যা দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এইসব উৎসবগুলি কানাডার বিভিন্ন প্রদেশের প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে এবং ফুলের সৌন্দর্য উদযাপন করতে প্রচুর দর্শনার্থী ভীড় জমায়।