সুশীল কুমার পোদ্দার

সুশীল কুমার পোদ্দার বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত একজন কানাডা প্রবাসী। কম্পিউটার প্রকৌশলী সুশীল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী এবং জাপানের এহিমে বিশ্ববিদ্যালয় হতে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। পরবর্তীকালে বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে তার অনেক কবিতা ও ছড়া প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশ লেখক শিবির থেকে প্রকাশিত “জ্যোতিষ শাস্ত্র বিজ্ঞান নয়” পুস্তিকা তার বিজ্ঞানমনস্ক লিখনিগুলির মধ্যে অন্যতম। ইতোমধ্যে সিবিএনএ-২৪ ও বাংলা মেইলে এ প্রকাশিত হয়েছে তার ধারাবাহিক আত্মজৈবনিক “যুদ্ধের স্মৃতি কথা’। সম্প্রতি বাংলা মেইলে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে আরেক আত্মজৈবনিক জাপানে যাপিত জীবন । অতি সম্প্রতি বইমেলায় যুক্ত হয়েছে তার মনোবিক্ষনিক গ্রন্থ ‘অবলাচরণ’।

সুশীল কুমার পোদ্দার-এর বইসমূহ

অবলাচরণ

সুশীল কুমার পোদ্দার-এর লেখাসমূহ

কর্মময় এক জীবনের আলেখ্য
রিভিউ

কর্মময় এক জীবনের আলেখ্য

সুব্রত কুমার দাস টরন্টোবাসী এক সদাহাস্যময়, সাহিত্যানুরাগী, প্রজ্ঞাবান ব্যক্তির নাম। তিনি তার আপন প্রতিভা বলে মাত্র দশ বছরেই উত্তর-আমেরিকায় বাংলা ভাষাভাষী সংস্কৃতি-অঙ্গনে এক বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছেন। বললে ভুল হবে তার এ অবস্থান শুধু বাংলা সংস্কৃতির মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়, তিনি  কানাডীয় সংস্কৃতির মূলধারাতেও নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন। এছাড়াও সংস্কৃতির বিবিধ অঙ্গনে রয়েছে তার অবাধ পদচারণা। টেলিভিশনের পর্দায় তাকে কখনও দেখা যায় রবীন্দ্রনাথ নিয়ে, কখনও নজরুল, কখনও চৈতন্যদেব, কখনও কানাডীয় সাহিত্য, আবার কখনও মহাভারত নিয়ে আলোচনা করতে। তার মনোজ্ঞ আলোচনায় উঠে আসে ঘটনার পেছনের নিগুঢ় ঘটনা, দেখার বাইরে কতো না-দেখা জগতের খোঁজ, শোনার বাইরেও কতো অশ্রুত বাণী।

কানাডায় একাকীত্ব – এক নিরব মহামারী
প্রবন্ধ

কানাডায় একাকীত্ব – এক নিরব মহামারী

কেউ কি আছ? এক বিশাল বাড়ীর প্রাচীরে প্রতিফলিত হয়ে আমার কথাগুলো ফিরে ফিরে আসে। অবিন্যস্ত বাগানের বৃক্ষ-লতারা আমার দিকে বিহ্বল হয়ে থাকিয়ে থাকে। অদূরে ঝাউ গাছগুলো বাতাসে দুলে  মাথা নাড়িয়ে বলে – নেই, কেউ নেই, এখানে কেউ থাকে না। গ্রীষ্মের তাপস্পর্শে এখানে সেখানে মাথা তুলে দাড়িয়ে আছে বেশ কিছু সতেজ পিয়নি। মাথায় তাদের ফুলের উদ্ভাস। আমরা একদিন এ পথ দিয়ে যেতে ওর মনোলোভা সৌন্দর্যের আকর্ষণে বাঁধা পড়েছিলেম। তাকিয়ে ছিলেম  অনেকক্ষণ।