সুব্রত কুমার দাস

কানাডা জার্নালের উদ্যোক্তা সুব্রত কুমার দাস মূলত লেখক ও সংগঠক। ২০০৩ সালে বাংলাদেশি নভেলস (www.bdnovels.org)-এর মধ্য দিয়ে তিনি বাংলা সাহিত্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ভূমিকা রাখেন। তাঁর লিখিত, অনূদিত এবং সম্পাদিত বইয়ের সংখ্যা ঊনত্রিশ।

২০১৩ সাল থেকে কানাডায় অভিবাসী সুব্রত রাইটারস ইউনিয়ন অব কানাডা এবং লিটারারি ট্রানস্লেটরস এসোসিয়েশন অব কানাডার সদস্য। তিনি ২০২০, ২০২২ এবং ২০২৩ সালে টরন্টো ইন্টারন্যশনাল ফেস্টিভ্যাল অব অথরস বা টিফা-তে অংশ নেন এবং বাঙালি লেখকদের নেতৃত্ব দেন।

২০১৮ সালে তিনি গায়ত্রী গ্যামার্স মেমোরিয়াল পুরস্কার এবং ২০২৩ সালে দক্ষিণ এশীয় সাহিত্য উৎসবে  কানাডার শ্রেষ্ঠ বাঙালি লেখকের পুরস্কার লাভ করেন।

২০২১ সালে কানাডার শীর্ষ ২৫ অভিবাসী পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত প্রার্থী তালিকায় উঠে এসেছিল সুব্রতর নাম।

সুব্রত কুমার দাস-এর বইসমূহ

আমার মহাভারত

কানাডীয় সাহিত্য বিচ্ছিন্ন ভাবনা

শ্রীচৈতন্যদেব

রবীন্দ্রনাথ ও মহাভারত

অন্তর্বাহ

বাংলা কথাসাহিত্য যাদুবাস্তবতা এবং অন্যান্য

কোড়কদী একটি গ্রাম

নজরুল বিষয়ক দশটি প্রবন্ধ

নজরুল-বীক্ষা

কম জানা, অজানা

রবীন্দ্রনাথঃ ইংরেজি শেখানো

বাংলাদেশের কয়েকজন ঔপন্যাসিক

উৎস থেকে পরবাস

সুব্রত কুমার দাস-এর লেখাসমূহ

স্মৃতিতে প্রশান্ত সরকার
শ্রদ্ধাঞ্জলি

স্মৃতিতে প্রশান্ত সরকার

২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর আমাদের সাহিত্য সংগঠন বেঙ্গলি লিটারারি রিসোর্স সেন্টার (বিএলআরসি) আয়োজিত দ্বিতীয় কানাডীয় লেখক সম্মেলনের শুরুতে সকল অতিথি দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে কানাডার বাঙালি কমিউনিটির সেই সময় পর্যন্ত প্রয়াত যে সকল লেখকের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তাঁরা হলেন ড. মীজান রহমান, মোল্লা বাহাউদ্দিন, ড. জহিরুল ইসলাম, মাহফুজুল বারী এবং ড. প্রশান্ত সরকার।

টরন্টোর উদ্যমী বাঙালি অসিত কুমার দত্ত
শ্রদ্ধাঞ্জলি

টরন্টোর উদ্যমী বাঙালি অসিত কুমার দত্ত

অসিত দত্তের জন্ম হয়েছিল নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মাস আগেই। তারিখটা ছিল ১৯৩৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর। অসিত  মনে করতেন তখন থেকেই যমরাজা তাঁর মুত্যুর বোতামটি টেপার জন্যে প্রস্তুত। কিন্তু চিত্রগুপ্ত নাকি দৌঁড়ে এসে যমকে দেখিয়েছিলেন, অসিতের অনেক কাজ করবার রয়েছে – খাতায় নাকি তেমনটিই লেখা রয়েছে। রহস্যজনকভাবে বেঁচে যাওয়া সেই মাংসপিণ্ড বড়ো হবার সাথে সাথে শুরু করেন দাপট ছড়াতে। পরিবারের ও সমাজের ওই প্রজন্মের সকলের প্রিয় অসিত ক্রমে ক্রমে হয়ে ওঠেন দাপুটে মেঝদা।

মীজান রহমান: দৃপ্ত এক মানবিক বোধের নাম
শ্রদ্ধাঞ্জলি

মীজান রহমান: দৃপ্ত এক মানবিক বোধের নাম

অধ্যাপক ড. মীজান রহমান (১৯৩২-২০১৫) প্রয়াত হয়েছিলেন জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখে। তাঁর মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়া মাত্রই টরন্টোর বাঙালি সমাজে গভীর এক হাহাকারের শব্দ শোনা গিয়েছিল। সে শব্দের তীব্রতা পুরো উত্তর আমেরিকা জুড়েই চলেছিল বেশ কিচুদিন। কানাডা-আমেরিকা জুড়ে অনেকগুলো শহরে তাঁকে নিয়ে শোকসভাও হয়েছিল। আমার বর্তমান শহর টরন্টোতেও তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে ৮ ফেব্রুয়ারি বাঙালিরা সমবেত হয়েছিলেন টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কারবরো ক্যাম্পাসে। সেখানে মনস্বী এ বাঙালির জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা ছাড়াও তাঁর জীবনী নিয়ে তৈরি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, তাঁর লেখা বইয়ের প্রদর্শনী, তাঁর রচিত পুস্তক থেকে পাঠ, এবং তাঁর পছন্দের গান ও কবিতা নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।

ড. জহিরুল ইসলাম: মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক
শ্রদ্ধাঞ্জলি

ড. জহিরুল ইসলাম: মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক

২০১৫ সালের ২১ জুন টরন্টোর বাংলাদেশ সেন্টারে ‘মুক্তিযুদ্ধে মেজর হায়দার ও তাঁর বিয়োগান্ত বিদায়’ এবং ‘একাত্তরের গেরিলা’ নিয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। বাংলাদেশ সেন্টারে ড. জহিরুল ইসলামের গ্রন্থদুটির ওপর আয়োজিত সে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট চিত্রকর গোপেশ মালাকার। আলোচকদের অন্যতম ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক গবেষক তাজুল মোহাম্মদ। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা হিসেবে দেলওয়ার এলাহী এবং সওগাত আলী সাগরের সাথে আমারও থাকা সুযোগ হয়েছিল। কিন্তু এসব বয়ানের পেছনে আরও কিছু কথা আছে।
কথাটা কষ্টের। সে বছর মে মাস থেকেই শুনছিলাম জহিরভাইয়ের ক্যান্সার ধরা পড়েছে। শুনতে শুনতে পত্রিকায় পড়তে থাকলাম তাঁর অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটার কথা।

শ্রদ্ধাঞ্জলি: মোল্লা বাহাউদ্দিন
শ্রদ্ধাঞ্জলি

শ্রদ্ধাঞ্জলি: মোল্লা বাহাউদ্দিন

২০১৫ সালের ১৭ আগস্ট টরন্টোর স্থানীয় সময় রাত বারোটা পেরিয়ে একটায় বাসাতে ফিরি। একটি নিমন্ত্রনে যাওয়াতে ফিরতে এতো রাত হয়ে গিয়েছিল। শুতে যাবার আগে নৈমিত্তিক কাজ হিসেবে ফেসবুকে ঢুকতেই দেখলাম ইনবক্সে কয়েকটি মেসেজ। একটি মোল্লাভাইয়ের কাছ থেকে। অনেক রাত হয়ে গেছে, মোল্লাভাই ঘুমিয়ে গেছেন, এই ভেবে ওটা খুললাম সবার পরে। খুলতেই শরীর-মন অবশ হয়ে আসতে লাগলো। মোল্লাভাইয়ের ফেসবুক একাউন্ট থেকে মেসেজটি পাঠিয়েছেন তাঁর মেয়ে। লিখেছেন, ‘হাই আঙ্কেল, আমি শ্যামা, আব্বা আর আমাদের মাঝে নেই।’