রোকসানা লেইস
কবিতা, গান, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ সাহিত্যের সব অঙ্গনেই সতঃস্ফূর্ত ভাবে লিখে যাচ্ছেন এক সাথে। সাহিত্যের সব শাখাতে অবাধ বিচরণ; এই সব্যসাচি লেখকের।
বাংলায় লেখেন, তবে অনেকবার তার লেখা ইংরেজিতে অনুবাদ হয়েছে এবং প্রকাশিত হয়েছে পত্রিকায়, ম্যাগাজিনে।
তিনি বাংলাদেশ, ভারত, ইংল্যান্ড, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও নর্থ আমেরিকার পত্র পত্রিকাসহ বিভিন্ন দেশের অর্ন্তজাল পত্রিকা এবং ব্লগে নিয়মিত লিখছেন।
বাংলাদেশের শ্যামল প্রান্তরে জন্ম সুত্রে বাঁধা, এখন কানাডা বসবাস করছেন দীর্ঘ সময় ধরে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতোকোত্তর রোকসানা লেইস। প্রকাশিত বইয়ের নাম: স্বপ্ন নগরীর খোঁজে (১৯৮৭), চন্দ্রিমায় নীল জল (২০০৭), অজানার স্রোতে (২০০৮), অন্তরীপ (২০০৯), আলোর যাত্রা (২০১১), শ্রাবণতিথির সোনালী আলো (২০১১), আকাশের চিঠি (২০১৯)
রোকসানা লেইস-এর বইসমূহ
স্বপ্ন নগরীর খোঁজে
অন্তরীপ
আলোর যাত্রা
আকাশের চিঠি
চন্দ্রিমায় নীল জল
অজানার স্রোতে
রোকসানা লেইস-এর লেখাসমূহ
মম কাজীর অনুবাদে ‘চড়ুই’
কবি আলবার্ট ফ্যাঙ্ক মারিৎজ, কানাডার বহুল পরিচিত একজন কবি। তিনি নির্বাহী সম্পাদক, প্রকাশক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করেছেন। ১৯৪৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯০ সালে গুগেনহেইম ফেলোশিপ পান – কবিতার জন্য । ওর কবিতা প্রিন্সটন সিরিজ কনটেম্পোরারি পোয়েটসে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ২০০৫ সালে কবিতার জন্য রিলিট পুরস্কার, ২০০৯ সালে গ্রিফিন কবিতা পুরস্কার এবং ২০১৩ সালে রেমন্ড সাউস্টার পুরস্কার বিজয়ী।
কানাডা আমার দেশ
ষড়ঋতুর দেশ থেকে চার ঋতুর দেশে এসে পৌঁছলাম। একটু অবাক ভাবনা মাথার ভিতরে ছয় ঋতু না হয়ে চার ঋতু হয় কীভাবে! তখন শীতের শেষ,ছেঁড়া ছেঁড়া সাদা তুষার পড়ে আছে এখানে ওখানে। বসন্ত শুরু হয়ে গেছে কিন্তু হাড় কাঁপিয়ে দেয়া শীত। শীতের দেশ হিসাবেই জানতাম কানাডাকে। এমন তুষার আবৃত শীতের সাথেই অভ্যস্থ হয়ে উঠতে হবে। অথচ কিছুদিন যেতে না যেতে দেখলাম বসন্তবাহার। এমন বসন্ত কখনও দেখিনি আর। এত ফুল ফুটে এত পাখি গায় এখানে। আমাদের দেশে বসন্তের ফুলগুলো ম্রিয়মান মলিন ধূসর ধুলায় ঢাকা। অথচ কানাডায় চকচকে রঙের বাহার। পাতাবিহীন গাছে শুধু ফুল ।