ঝর্ণা চ্যাটার্জী
ঝর্ণা চ্যাটার্জীর জন্ম ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে। বাল্য ও কৈশোর কেটেছে পশ্চিম বাংলার আধা-শহর আরামবাগে প্রকৃতি ও সংস্কৃতির অকৃপণ দানের মাঝে। শৈশব থেকে তিনি কবিতা লিখতে ভালবাসতেন। পরে তার সাথে নানা বিষয়ে প্রবন্ধ ও ছোট গল্প লেখাও শুরু হয়। প্রথমে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন শাস্ত্রে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে কানাডায় আসার পরে ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবা থেকে মনস্তত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি আর অটোয়া ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। কানাডার কেন্দ্রীয় সরকারে দীর্ঘদিন গবেষণার কাজে নিযুক্ত থাকার পরে এখন তিনি অবসরপ্রাপ্ত। সারা বিশ্বে ভ্রমণ করা আর এই সব অভিজ্ঞতা লেখা ও ছবির মাধ্যমে সবার সাথে ভাগ করে নেওয়া তাঁর একান্ত প্রিয় কাজ।
ঝর্ণা চ্যাটার্জি-এর বইসমূহ
A Sprinkling of Europe
A Grand Voyage Around The World
Earth: From North to South
একটি বাঙালি মেয়ের কানাডার জীবন-কাহিনী
ভালবাসার গল্প
তুলনা তার নাই
সন্ধ্যারাগে
ঝর্ণা চ্যাটার্জি-এর লেখাসমূহ
সুশীল কুমার পোদ্দারের “অবলাচরণ”
সুশীল কুমার পোদ্দারের লেখা ‘অবলাচরণ’ বইটি পড়তে পড়তে অনেক কথা মনে এলো। কোনটা আগে, কোনটা পরে লিখব তা ভেবে পাচ্ছি না। তার ওপরে সুশীল প্রযুক্তিবিদ্যায় সারা পৃথিবী থেকে এত এত ডিগ্রি অর্জন করে আর জীবনের সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করার পরেও বাংলা ভাষায় এত দক্ষতার সাথে লিখতে পারে, তার জন্য সময় করে নিতে পারে – আমি তাই দ্বিধাগ্রস্ত।
অতনু দাশ গুপ্তের কানাডার পথ ও রথের বৃত্তান্ত
অনেক আগ্রহ নিয়ে অতনু দাশ গুপ্তের লেখা ও আমাকে ভালবেসে উপহার দেওয়া ‘কানাডার পথ ও রথ’ বইটি পড়ে শেষ করলাম। কানাডাতে নবাগত যারা, যারা প্রথম থেকেই কাজের অফার নিয়ে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিচিং অথবা রিসার্চ এ্যাসিস্ট্যান্টশিপের রক্ষাকবচ নিয়ে আসেননি, তাদের জন্য এই বইটি অবশ্য-পাঠ্য বলে মনে হলো।
কানাডার শিক্ষাব্যবস্থা
কানাডার শিক্ষা ব্যবস্থার সম্পর্কে আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হিসাবে। তারপরে কন্যার শিশুকাল থেকে শিক্ষার পথে ধাপে ধাপে তার এগোনোর অভিজ্ঞতা থেকে। যতটা জানি, তাই লিখছি। কিছু ভুল যে থাকবে না তা নিশ্চিত করে বলতে পারি না। শিক্ষাব্যবস্থার দায়িত্ব কেন্দ্রের নয়, প্রতি প্রদেশের – কী করে উপযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ নাগরিক হিসাবে তৈরী করা যাবে, তারা যাতে আত্মনির্ভর হয়ে সমাজের বিভিন্নরকমের দায়িত্ব পালন করতে পারে। সংক্ষেপে বলি, কানাডাতে পাবলিক স্কুল বাধ্যতামূলক এবং তার জন্য পয়সা লাগে না – প্রাদেশিক সরকার (বা টেরিটরি) এর ব্যয় বহন করে।