চয়ন দাস
চয়ন দাসের জন্ম বাংলাদেশের চাঁদপুর শহরে। ছোটবেলা থেকেই গান ও কবিতার সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে পারিবারিক আবহে। স্কুল জীবন থেকে ছড়া কবিতা লেখার প্রয়াস। উপমহাদেশের প্রথম সাপ্তাহিক শিশু কিশোর পত্রিকা “কিশোর বাংলা”এ তাঁর প্রথম ছড়া প্রকাশিত হয়। ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরুর প্রথম থেকেই নিয়মিত খেলাঘরের পাক্ষিক সাহিত্য আসরে নিজের লেখা ছড়া কবিতা নিয়ে হাজির হ’তেন। প্রথম বর্ষের ছাত্র থাকাকালে জগন্নাথ হল আয়োজিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় রবীন্দ্র সংগীত, কবিতা আবৃত্তি ও স্বরচিত কবিতা বিভাগে পুরস্কৃত হন। ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ গানের রচয়িতা শ্রদ্ধেয় ফজল-এ-খোদার সান্নিধ্য পাওয়ার পর গীতিকবি হওয়ার আগ্রহ জন্মে। লেখেন বেশকিছু গান। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘গহীন দহনে গাহন’।
চয়ন দাস-এর বইসমূহ
গহিন দহনে গাহন
চয়ন দাস-এর লেখাসমূহ
সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে নাগরিক অধিকার ও দায়িত্ব
মানুষ প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্যেই, সহজাতভাবেই মুক্ত, অবাধ থাকতে চায়। জন্মজাত রিপুর তাড়নে, ক্রীয়াশীল থাকতে চায়। সামাহীন ইচ্ছাকে পূরণ করতে চায়। জৈবিক ক্ষুধা নিবারণ করতে চায়। মানুষের এ চাওয়া অতলান্তিক, অপরিমিত। মানুষের অনিয়ন্ত্রিত চাওয়া এবং পরিণামে কাড়াকাড়ি, হানাহানি, হিংসা, হিংস্রতা, বর্বরতা মানুষের মধ্যযুগীয় জীবন ধারার কথা মনে করিয়ে দেয়। মধ্যযুগীয় সেই বর্বর, পাশবিক জীবনধারা থেকে মানুষ নিজের প্রয়োজনে, চেষ্টায় এবং বুদ্ধিমত্তায় বেরিয়ে আসতে পেরেছে একটি সভ্য মানবিক জীবন যাপনের কাঠামো নির্মাণ করতে পেরেছে। মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার ক্ষেত্র প্রশস্ত হওয়ার সাথে সাথে, মানুষ তার ইচ্ছাশক্তিকে চালিকাশক্তিতে পরিণত ক’রে, স্বপ্নকে একে একে ছুঁয়ে যাচ্ছে। মানুষ উন্নত থেকে উন্নততর জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। তার জ্ঞান-বুদ্ধির বিকাশ এবং প্রয়োগের মাধ্যমে নিজের ভেতরে থাকা পশুত্ব নিয়ন্ত্রন করে বিবেক বিবেচনা ও মানবিকতার মেলবন্ধনে একটি সুস্থ সহায়ক এবং সহযোগিতার বাতাবরণে আধুনিক সমাজ রাষ্ট এবং বিশ্বব্যবস্থা নির্মাণ করেছে মানুষ।