কানাডার আদিবাসী জনগণ: সত্য উদঘাটন ও পুনর্মিলন
কানাডার আদিবাসী জনগোষ্ঠী, যাদের সাধারণত ফার্স্ট নেশনস, ইনুইট এবং মেটিস নামে চিহ্নিত করা হয়, তারা কানাডার প্রাচীনতম বাসিন্দা।
প্রাক-ঔপনিবেশিক যুগ থেকে বর্তমান পর্যন্ত তাদের জীবন ও সমাজ ব্যবস্থা একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং সংস্কৃতির ধারক। তাদের বসবাসের স্থানগুলি দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে বিস্তৃত, যেমন উত্তর মেরু অঞ্চলের তুষারাবৃত ভূমি, পশ্চিমের পর্বতমালা, কেন্দ্রীয় প্রেইরি অঞ্চল এবং পূর্বের বনাঞ্চল। এই বৈচিত্র্যময় ভৌগোলিক অবস্থানগুলি তাদের সমাজের বিভিন্ন দিককে প্রভাবিত করেছে।
আদিবাসীদের জীবনধারা প্রাকৃতিক সম্পদের সাথে নিবিড়ভাবে যুক্ত। শিকার, মাছ ধরা এবং ফলমূল সংগ্রহ তাদের অর্থনৈতিক কার্যকলাপের মূল ভিত্তি ছিল। তাছাড়া, তাদের জীবনযাত্রার সাথে মানিয়ে নিতে শীতকালে তারা ইগলু এবং গ্রীষ্মকালে লম্বা ঘর বা বার্ক হাউসের মতো স্থাপত্য ব্যবহার করে থাকে। যদিও কালের প্রবর্তনে তার অনেক পরিবর্তন এসেছে! এই স্থাপত্যগুলি কেবল আবাসন নয়, বরং তাদের সমাজের সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক জীবনের কেন্দ্রবিন্দু।
কানাডার আদিবাসী সমাজ ব্যবস্থা অত্যন্ত বর্ণাঢ্য এবং স্বায়ত্তশাসিত ছিল। তাদের সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক ও পিতৃতান্ত্রিক উভয় প্রকারের! যেখানে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দায়িত্ব ভাগ করা দেয়া হত। আদিবাসী নেতারা সাধারণত বয়স্ক এবং প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিদের মধ্যে থেকে নির্বাচিত হতেন, যারা কেবল রাজনৈতিক নেতৃত্বই নয়, বরং আধ্যাত্মিক নির্দেশনাও প্রদান করতেন।
আদিবাসী সংস্কৃতি ভাষা, শিল্পকলা, নৃত্য এবং গানে ভরপুর। তাদের লোককথা এবং কিংবদন্তি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মৌখিকভাবে সংরক্ষিত হয়েছে, যা তাদের সমাজের মূল আদর্শ এবং মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে। তবে, ঔপনিবেশিক শাসন এবং আধুনিকীকরণের চাপ তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। বহু আদিবাসী সম্প্রদায় এখনও তাদের জমি, সংস্কৃতি এবং অধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করছে।
এই ভূমিকা কানাডার আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবনের একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরেছে, যা তাদের ইতিহাস, সমাজ ব্যবস্থা এবং সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের পরিচয় দেয়। তাদের সংগ্রাম এবং অর্জনের গল্প আমাদের প্রেরণা জোগায় এবং একটি ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের গুরুত্ব উপলব্ধি করায় সহায়ক হয়।
সেটলাররা কানাডা আসার পর থেকে আদিবাসীদের শিক্ষা-সাংস্কৃতি এবং জীবন ব্যবস্থার উপর প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে! তারই ধারাবাহিকতায় তারা ১৮৭৯ সালে রেসিডেন্সিয়াল স্কুল পদ্ধতি প্রবর্তন করে এবং ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তা চালু ছিল ! সেটলারদের সমবেত প্রচেষ্টা ছিল সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে আদিবাসীদের সংস্কৃতিক পরিচয়কে সমূলে উৎপাটন করা! সেই অশুভ প্রক্রিয়া থেকে আদিবাসীদের ভেতরে সৃষ্টি হয়েছিল সামাজিক অস্থিরতা! ক্যাথলিক ও প্রোটেস্টস্টান্ট চার্চগুলোর ধর্মযাজকরা আদিবাসী শিশু সন্তানদের ছিনিয়ে নিয়েছিল মায়ের কোল থেকে, শৈশব কৈশোরের নির্মল আনন্দ থেকে ! তাদেরকে পাঠিয়েছিল রেসিডেন্সিয়াল স্কুলে সাহেব বানানোর জন্য ! সেই স্কুলগুলোতে শিশুরা সাংঘাতিকভাবে শারীরিক মানসিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিল! অনেক শিশু সেই স্কুলগুলোর বীভৎস কষ্টকর পরিবেশ থেকে বাঁচার জন্য, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পালিয়ে এসেছে! আর যারা ফিরে আসতে পারেনি নিজ গ্রামে, মায়ের কোলে, তাদের বাবা-মা এখনো জানেন না তাদের সন্তান কোথায় হারিয়ে গেছে অথবা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে থাকলে কোথায় তাদের সমাধিস্থ করা হয়েছে! শিক্ষকদের অমানুষিক নির্যাতন, কড়া শাসন ব্যবস্থা মেনে না নিতে পেরে কতটা চোখের জল গড়িয়েছিল স্কুল কক্ষগুলোতে কেউ তার হিসেব রাখেনি!
এইতো কিছুদিন আগেও ম্যানিটোবার বোর্ডিং স্কুল গুলোর আশেপাশ থেকে অসংখ্য আনমার্কড গ্রেভ পাওয়া গেছে! যা সূর্যের মতো সত্য, কিন্তু সবার কাছে তা দুঃস্বপ্ন মনে হয়! আবাসিক স্কুলের গন্ডির ভেতরে আর কি কি ঘটেছিল, যার জন্য আদিবাসী শিশুরা প্রচন্ড মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সেই প্রকৃত সত্যকে জানার অভিপ্রায়ে সময়ের দাবিতে
‘ট্রুথ এন্ড রিকন্সিলিয়েশন কমিশন তৈরি হয়!’
২০২১ সালে স্ট্যাটিসটিক্স কানাডার জরিপ অনুযায়ী ১.৮ মিলিয়ন আদিবাসী মূল জনসংখ্যার একটি অংশ এই দেশে বসবাস করে! যা ন্যাশনাল পপুলেশনের প্রায় ৫ %, যারা বিভিন্নস্তরে মানসিকভাবে নির্যাতিত ও অবহেলিত হয়ে এসেছে দখলকারীদের যুগের শুরু থেকে!
কানাডার আদিবাসী জনগণের ইতিহাস প্রায়শই উপনিবেশবাদ, নিপীড়ন এবং প্রান্তিককরণের চিহ্ন বহন করে। এই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট থেকে সৃষ্টি হওয়া সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক চ্যালেঞ্জগুলি এখনও আদিবাসী সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করে চলেছে। এই চলমান অবিচার মোকাবেলার জন্য সত্য উদঘাটন ও পুনর্মিলনের ধারণাটি উদ্ভূত হয়েছে, যা ঐতিহাসিক ভুলগুলি সমাধান, নিরাময় এবং দেশের সবার জন্য সমান ভবিষ্যৎ গঠনের একটি অপরিহার্য প্রক্রিয়া হিসাবে গণ্য করা হয়!
ট্রুথ এন্ড রিকন্সিলিয়েশন কমিশন এর রিপোর্টে দেখা যায়,কানাডিয়ান ফেডারেল গভরনমেন্টের তথ্য ও উপাত্ত মতে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজারের উপরে স্টুডেন্ট রেসিডেন্সিয়াল স্কুলে এটেন্ড করেছিল! রেসিডেন্সিয়াল স্কুলগুলোতে শিশুদের উপর কি ধরনের অন্যায় এবং অত্যাচার হয়েছিল সেই সত্য উদঘাটনের জন্য আদিবাসীরা বারবার সরকারের কাছে দাবী করেছে, অনুরোধ করেছে, আন্দোলন করেছে! দেশের বিচার ব্যবস্থার কাছে ফরিয়াদ করেছে! তারই প্রেক্ষিতে ২০০৮ সালে গঠিত হয় ‘Truth And Reconciliation Commission.(TRC)। সত্য উদঘাটন ও পুনর্মিলন প্রক্রিয়াগুলি আদিবাসী জনগণের মুখোমুখি হওয়া, ঐতিহাসিক অবিচারগুলি মোকাবেলা করা ও বোঝাপড়া করার লক্ষ্য নিয়ে গঠিত। সাধারণত এই প্রক্রিয়াগুলিতে প্রায়শই অতীতের নির্যাতনের সত্যতা স্বীকার, আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা এবং প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনের জন্য নির্দিষ্ট পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত থাকে। যদিও সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনার ঘোষণা শোনার জন্য আদিবাসীদের বহু বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে!
প্রথমত টি আর সি ‘র কাজ ছিল রেসিডেন্সিয়াল স্কুলগুলোর বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের অভিজ্ঞতাগুলি নথিভুক্ত করা,রেসিডেন্সিয়াল স্কুলগুলির নষ্ট প্রভাব সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করা এবং পুনর্মিলনের জন্য সুপারিশ প্রদান করা।
আমরা সবাই জানি সত্য উদঘাটন, পুনর্মিলনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য একটি প্রক্রিয়া।
প্রথমত, এটি ইতিহাসের নির্যাতিতদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে,যেখান থেকে তারা তাদের অভিজ্ঞতাগুলিকে সবার সামনে তুলে ধরতে পারে। এই স্বীকৃতি নিরাময় প্রক্রিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আদিবাসী সম্প্রদায় যে ভোগান্তির ভেতর দিয়ে গিয়েছে তা উপলব্ধি করতে আমাদের সাহায্য করে!
দ্বিতীয়ত, জনগণকে ঐতিহাসিক অবিচারগুলির বাস্তবতা সম্পর্কে সম্মুখ জ্ঞান দিতে সাহায্য করে। এবং আমরা আবাসিক বিদ্যালয়গুলির সৃষ্ট ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে অবহিত হই। সত্য উদঘাটন প্রক্রিয়াটি, আদিবাসী জনগণের মুখোমুখি হওয়া ঐতিহাসিক এবং সমসাময়িক চ্যালেঞ্জগুলি সম্পর্কে বৃহত্তর বোঝাপড়া করার জন্য নিজেদের অবস্থানকে বুঝতে সাহায্য করে!
Truth and Reconsilation Commission (TRC)
বোর্ডিং স্কুল ভিকটিমদের এখনো যাঁরা বেঁচে আছেন,ও তাঁদের পরিবারবর্গ যারা সেই কালো অধ্যায়ের ভেতর দিয়ে জীবন অতিবাহিত করেছেন অথবা এখনো করছেন তাদের মুখোমুখি হয়েছিল সত্য ঘটনা গুলি জানার জন্য!
লেখক Anne Spice এর কলমে উঠে এসেছে রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের কষ্টপূর্ণ অতীত নিয়ে এক বেদনাবিধুর সত্য ঘটনা!
“Canadian Geographic
Indigenous People Atlas of Canada” গ্রন্থে তিনি লিখেছেন ;
“And I am never going to know what actually happened •••••••What it caused in my family was silence.
Lee Spice, testimony to the Truth and Reconciliation Commission.
আর এক ভুক্তভোগীর কন্যা লিখেছেন—
“We heard nothing about his schooling. Nothing throughout his whole life. We watched our father be destroyed from the inside out.”
এমনই সহস্র কষ্টপূর্ণ অভিজ্ঞতার কথা নথিভুক্ত হয়েছে টিআরসি’র পাতায় পাতায় যা গা শিউরে ওঠার মত!
সত্য উদঘাটিত হওয়ার পরে,যে পুনর্মিলন প্রক্রিয়াটি শুরু হয় তা কখনোই রাতারাতি সম্পূর্ণ হয় না “
পুনর্মিলন শুধুমাত্র অতীতের ভুলগুলি স্বীকার করার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; আদিবাসীদের প্রতি যে অন্যায় অবিচার হয়েছে তা মোকাবেলা করে সবার জন্য একটি সমান ভবিষ্যৎ গঠনে পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন। টি আর সি ‘র রিকমেন্ডেশনে আদিবাসী জনগণের জীবনযাত্রার প্রেক্ষাপটে, পুনর্মিলনের প্রচেষ্টাগুলিতে যা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তার সবকিছু কি আমরা প্রয়াস নিতে পেরেছি? এই প্রশ্ন থেকেই যায়!
আরো একটি অপরিহার্য বিষয় হলো তাদের সংস্কৃতি ;
সেটলাররা চেষ্টা করেছিল তাদের সংস্কৃতিকে সমূলে ধ্বংস করে ইউরোপীয় সংস্কৃতি রোপন করার জন্য! সুক্ষভাবে সেই প্রক্রিয়া এখনো অব্যাহত রয়েছে বলে অনেক গবেষকই মনে করেন! আদিবাসিদের ভাষা, প্রচলিত প্রথা এবং সাংস্কৃতিক কার্যকলাপের পুনরুজ্জীবন ও সংরক্ষণের সহায়তা প্রদান এবং সম্প্রদায়গুলোর পরিচয় শক্তিশালী করার জন্য রিকন্সিলিয়েশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সরকারের এমন নীতির প্রয়োজন যা অসমতা দূর করে এবং আদিবাসী জনগণের অধিকার, ভূমি পুনরুদ্ধার, শিক্ষা,সংস্কৃতি এবং স্বাস্থ্যসেবার উন্নত সুযোগ করে দেয়!
আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং স্বাবলম্বিতার প্রচেষ্টাগুলি দারিদ্র্যতা মোকাবেলা করতে সাহায্য করবে, এগুলিও অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত তাদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে!
সর্বোপরি শিক্ষামূলক পাঠ্যক্রমে আদিবাসীদের ইতিহাস এবং সুদৃষ্টিভঙ্গি অন্তর্ভুক্ত করে সমস্ত নাগরিকের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সম্মানকে উৎসাহিত করতে হবে যাতে করে দ্রুত অ-আদিবাসী ও আদিবাসীদের মধ্যে সমঝোতা গড়ে ওঠে!
ট্রুথ এন্ড রিকন্সিলিয়েশন এর সবচেয়ে বড় চ্যালঞ্জ হলো প্রাতিষ্ঠানিক অসমতা এবং পক্ষপাত। এই সিস্টেমগুলি পরিবর্তন করতে নিরবচ্ছিন্ন রাজনৈতিক ইচ্ছা ও সমাজের সমস্ত স্তর থেকে প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন!
আমাদের সেই প্রতিশ্রুতি থাকলেও তার প্রয়োগের ধীরগতির জন্য সুফল পেতে বহু বছর অপেক্ষা করতে হতে পারে!
কানাডা’র ট্রুথ এন্ড রিকন্সিলিয়েশন কমিশন এর প্রতিবেদনটি ২০১৫ সালে প্রকাশিত হয়!
বিশাল সেই প্রতিবেদন এর প্রধান সুপারিশগুলির মধ্যে রয়েছে:
শিশু কল্যাণের জন্য ফোস্টার কেয়ারে আদিবাসী শিশুদের সংখ্যা হ্রাস করা এবং সাংস্কৃতিকভাবে উপযুক্ত পরিষেবা প্রদান করা এবং বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষা কারিকুলাম এ আদিবাসীদের ইতিহাসকে প্রাধান্য দেয়া এবং তা বিকাশে উদ্বুদ্ধ করা!
আদিবাসীদের ভাষা ও সংস্কৃতির সংরক্ষণ এবং পুনরুজ্জীবন অত্যন্ত জরুরী, সেগুলোও সুপারিশ করা হয়েছে!
সত্য উদঘাটন ও পুনর্মিলনের যাত্রা চলমান রাখতে হলে সমাজের সমস্ত স্তর থেকে দীর্ঘমেয়াদী প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন। আদিবাসী এবং অ-আদিবাসী জনগণের মধ্যে খোলামেলা ও সম্মানজনক সংলাপ বজায় রাখা, বোঝাপড়া এবং আস্থার জন্য অপরিহার্য। সরকার এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলি সত্য উদঘাটন ও পুনর্মিলন কমিশনের সুপারিশগুলি বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে দায়বদ্ধ হতে হবে।
অতীতের ভুলগুলি স্বীকার করে,নির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যেতে হবে! তবে সেই যাত্রা কতটুকু অব্যাহত থাকবে সময়ই তা বলে দেবে! আমরা অপেক্ষায় থাকবো একটি সুন্দর ভবিষ্যতের!
এই প্রবন্ধ লিখতে নিম্নোক্ত বইগুলি থেকে সাহায্য নিয়েছি :
- Canadian Geographic
Indigenous People Atlas of Canada
Published by The Royal Canadian Geographical Society
Published in 2018 - Canada’s Residential Schools, Vol.1
The Final Report of the Truth and Reconciliation commission of Canada
Published in 2015 - Aboriginal Peoples of Canada
Edited by Paul Robert Magocsi
University of Toronto Press
Published in 2001 - Honouring the Truth, Reconciling for the Future .
Truth and Reconciliation commission of Canada
Published in 2015