অতনু দাশ গুপ্তের ‘গল্পেসল্পে কিছুক্ষণ’
সামিনা চৌধুরী
কোন উপকথা বা পৌরাণিক গল্প বা কোন রূপকথার গল্প শুনে শুনে বাংলাভাষী পাঠকের ছেলেবেলা কেটে গেলেও বাংলা সাহিত্যে ছোটগল্প লেখার চর্চা তত বেশী নয়, যদিও বর্তমান সময়ের ব্যস্ত পাঠক ছোটগল্প পড়তে পছন্দ করেন। এই প্রেক্ষাপটে অতনু দাশ গুপ্তের ‘গল্পেসল্পে কিছুক্ষণ’ বইটি খুব চমৎকার একটি উদাহরণ। বইটির ১২টি গল্প পাঠককে ঘুরিয়ে আনবে ১২টি ভুবন থেকে। নতুন দেশের নানান গল্প, অপরূপ দৃশ্যাবলীর কাব্যময় বর্ণনা, পারিবারিক ভালোবাসা, বন্ধুত্বের আনন্দ, সমাজ ও জীবনদর্শনের পাশাপাশি লেখক তাঁর নিজের বাস্তব কিছু অভিজ্ঞতাও বলেছেন এই গল্পগুলোতে।
গ্রন্থের গল্পগুলোতে লেখক কানাডা-প্রবাসী একজন নায়কের গল্প লিখেছেন। নায়কের প্রবাসজীবনে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যাবার গল্প, নতুনদেশে বিভিন্ন ধরনের চাকরির মাধ্যমে টিকে থাকার সংগ্রাম, প্রবাসজীবনের বন্ধুদের ভালোবাসার কথা, নতুন দেশের মানুষ প্রাণীকূলকে কত অসীম মমতায় ভালবাসে সেই কাহিনি এবং বিদেশের মাটিতে সামান্য একজোড়া দস্তানার জন্য মানুষ কত অসামান্য সততার পরিচয় দেয় সেসব গল্প বলেছেন। আবার কোনো কোনো গল্পে মা-মাসীর স্মৃতির কথা বলেছেন যেখানে মা-সন্তানের চিরন্তন বন্ধনের কথা আছে; মায়াভরা পরিবারের কথা আছে। এছাড়াও ৭১-এর নির্বিচার গণহত্যার প্রেক্ষাপটে সুন্দর আগামীর স্বপ্ন চোখে অসহায় মানুষের পরিবার পরিজন নিয়ে অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্য দিয়ে দেশ ত্যাগের গল্প লিখেছেন। মা-বাবা হারানো নিষ্পাপ লেগুনাবালক সুলতানের গল্প লিখেছেন যেখানে সুলতানের স্বপ্নরা নিষ্ঠুর সমাজ ও রূঢ় বাস্তবতার কাছে পরাজিত হয়ে যায়। গল্পের পাশাপাশি পাঠক কানাডা এবং চট্টগ্রামের পাহাড়ি শহরের অপূর্ব বর্ণনাও পাবেন।
একসময় মানুষ প্রাচীন কোন কিংবদন্তী বা পৌরাণিক কাহিনী বা লোককাহিনীর গল্প বলতো । ১৪শ শতকে অ্যারাবিয়ন নাইটসের গল্প এবং জিওফ্রে চসারের লেখা ক্যান্টারবেরি টেলস জনপ্রিয় ছিল। সাহিত্যের একটি আলাদা রূপ হিসেবে ফরাসি লেখক মঁপাসা, রাশান লেখক অন্তন চেখভ এবং আমেরিকান লেখক এডগার এলেন পো ছোটগল্পের সূচনা করেন। বাংলা সাহিত্যে ছোটগল্পকে স্বতন্ত্র একটি সাহিত্য শাখা হিসেবে রূপ দেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পাশাপাশি পূর্ণচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, স্বর্ণকুমারী দেবী, নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত প্রমুখ লেখক ছোটগল্প রচনার পটভূমি তৈরি করেছিলেন।
ছোটগল্পের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে এইচ জি ওয়েলস বলেছেন, ‘A short story is, or should be a simple thing; it aims at producing one single vivid effect; it has to seize the attention at the outset, and never relaxing, gather it together more and more until the climax is reached.’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছোটগল্পের সংজ্ঞায় বলেছেন, ‘ছোট প্রাণ ছোট ব্যথা, ‘ছোট ছোট দুঃখ কথা নিতান্ত সহজ সরল, … নাহি বর্ণনার ছটা ঘটনার ঘন ঘটা, নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ। অন্তরে অতৃপ্তি রবে সাঙ্গ করি মনে হবে শেষ হয়ে হইল না শেষ।‘ এই তত্ত্বের আলোকে ‘গল্পেসল্পে কিছুক্ষণ’ অসাধারণ একটি উদাহরণ। লেখক অতনু দাশ গুপ্ত খুব সচেতন এবং যত্নশীল একজন লেখক। ছোটগল্পের এইসব বৈশিষ্ট্য নিজেই পড়ে বইটির ভূমিকা লিখেছেন এবং নির্ঘন্ট দিয়েছেন, যা সাহিত্যের প্রতি তাঁর তীব্র অনুরাগ প্রমাণ করে।
ছোটগল্পের মধ্যেও ক্লাইমেক্স থাকে যেখানে কাহিনির বিষয়বস্তু বাঁক নিয়ে অনন্য হয়ে উঠে। তেমনি একটি গল্প ‘সুলতানের রোজনামচা’। বইটিতে লেখক এই ঘুনেধরা সমাজের অদৃশ্য বর্ণবাদ প্রথার কথা বলেছেন, যেখানে শুধু জন্মের অপরাধে কেউ কেউ বঞ্চিত হয় স্বাভাবিক সুযোগ থেকেও। তেমনি একজন ‘সুলতানের রোজনামচা’ গল্পের সুলতান। বাবা-মা হারানো বালক সুলতান লেগুনার শিশু হেলপার। সারাদিন যাত্রী ডেকে লেগুনায় উঠানো, যাত্রীদের ভাড়া নেয়া, তাদেরকে সঠিক গন্তব্যে নামিয়ে দিতে দিতে সুলতাদের দিন চলে যায়। পড়াশোনা করে একটা স্বাভাবিক জীবনের স্বপ্ন সুলতানের জন্য অধরা। একবার তার পুরানো শিক্ষিকা তন্দ্রার সঙ্গে দেখা হয় সুলতানের। তন্দ্রা চেষ্টা করে সুলতান যেন আবারও স্কুলে আসতে পারে। কিন্তু সে পথ সুলতান বা তন্দ্রা কারো জন্য সহজ নয় । সুলতানের স্কুলে গেলে ‘লেগুনা চলবো কী কইরা’! তারপর ‘আবার সুলতানের লেগুনা ছেড়ে দিল। হাউজবিল্ডিং থেকে আবার রওয়ানা হয়ে গাড়ি যতই খালপাড়ের দিকে এগুচ্ছে, সেখানকার সুউচ্চ অট্টালিকাগুলোও আকারে ছোট হয়ে আসছে। সেই সাথে স্তিমিত হয়ে আসছে সুলতানকে নিয়ে দেখা তন্দ্রার স্বপ্ন।‘ এভাবেই হারিয়ে যায় সুলতানরা তাদের তন্দ্রার স্বপ্ন নিয়ে। দারিদ্র্য ক্লিষ্ট সমাজের এই গল্প পাঠককে ভাবাবে বঞ্চিত শিশু সুলতানকে নিয়ে।
গ্রন্থটিতে লেখক মায়ার বাঁধনে বাঁধা পরিবারের গল্প বলেছেন। ‘মেঘ নীলিমা’ গল্পে লেখক প্রবল ভালবাসায় প্রবাসিনী ভাতিজির দেশ ছেড়ে চলে যাবার গল্প লিখতে গিয়ে লিখেছেন, ‘কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমান উড়ে চললো। আমার ছোট্ট মেঘ বিশাল নীলিমার আড়ালে চলে গেল। কতকালের জন্য তা মহাকালই জানে।‘
বইটির ‘স্মৃতির ঝাঁপি’ গল্পে হাসপাতালে অসুস্থ মায়ের সেবায় নিয়োজিত সন্তানের জন্য মায়ের চিরন্তন ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ আমরা দেখি। অসুস্থ মাকে যখন ছেলে খাইয়ে দিতে চাচ্ছে, তখন মা অসুস্থ অবস্থায়ও জিজ্ঞাসা করে ‘তুই খেয়েছিস?’ মা-সন্তানের এই চিরন্তন বন্ধনে ছেলেরও মনে রয়ে যায় হাজারো স্মৃতি। তাই ছেলেও বলে, ‘আমার স্মৃতির ঝাঁপির ঋদ্ধতার পেছনে মায়ের মায়া জড়ানো ঘটনাবলির সমষ্টি পুঞ্জিভূত হয়েছে বলেই সেগুলো সবসময়ই হৃদয়ের মণিকোঠায় চির ভাস্বর।‘
লেখক তাঁর নিজের লেখার সাম্রাজ্যের রাজা। সেখানে লেখক স্রষ্টার আনন্দ অনুভব করেন। তাই মনের সব রং মিশিয়ে গল্পগুলোতে তিনি প্রকৃতির ছবি এঁকেছেন । ‘প্রেয়সী সিডনি’ গল্পে কানাডার সিডনি শহরের বর্ণনায় লিখেছেন, ‘পুরো শহরটাকেই ছবির মত লাগে ! মনে হয় প্রতিটা গলিতে কোন এক শিল্পী দাঁড়িয়ে তার তুলির আচড়ে এমন এক দৃশ্যপট এঁকে গেছেন যা কম্মিনকালেও পুরোনো হবে না।‘ ‘অনুভূতির বান্দরবান’ গল্পে ছাত্রজীবনের নস্টালজিয়ার পাশাপাশি মনের চোখে অপূর্ব পাহাড়ি ঝর্ণার শব্দচিত্র এঁকেছেন লেখক। তাঁর ভাষায়, ‘অসংখ্য পাথরের গা বেয়ে বেয়ে উপর থেকে উত্তাল তরঙ্গের বেগে নিচে নেমে আসা একরাশ জলরাশির পতনের শব্দে মনপ্রাণ আন্দোলিত হচ্ছে এমনটাই হবে পাহাড়ি জলকন্যার চিরযৌবনা রূপরাশির আবেদন।‘ এই গল্পে দূষণের কারণে ফুঁড়িয়ে আসা কর্ণফুলী নদী এবং বান্দরবান শহরের পরিবেশ রক্ষার আর্তি জানিয়ে বলেছেন, ‘এগুলো কর্ণফুলী পেপার মিলের কাগজের মন্ড হয়ে যাবার পর বাতিলকৃত বর্জ্য পদার্থ। যেগুলো নিষ্কাশনের অন্য কোন ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ করেননি।‘ গল্পের তরুণেরা এইসব দূষণ সমাধানে অনেক আলোচনাও করে যা মূলত লেখকের মনের কথা।
গল্পগুলোতে জীবন সম্পর্কে লেখকের সুগভীর জীবনবোধ প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন মোহের পেছনে জীবনের এই লাগামহীন ছুটে চলা নিয়ে বলতে গিয়ে ‘স্মৃতির ঝাঁপি’ গল্পে লেখক বলেছেন, ‘মাঝে মাঝে মনে হয় কীসের পেছনে এত ছুটছি? কীসের মোহে? কী হবে এসব দিয়ে? এসব করতে গিয়ে যার খুব কাছে থাকার কথা তার কাছে থেকেই অনেক দূরে সরে যাচ্ছি।‘ বইটির ‘আশীর্বাদ’ গল্পটি সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে শিক্ষক আশুতোষ বাবুর এক নীরব প্রতিবাদ । প্রশ্নচোর ছাত্রের নেশাগ্রস্থতা দূর করার জন্য তিনি কাজ করেছেন নীরবে।
‘গল্পেসল্পে কিছুক্ষণ’ গ্রন্থে লেখক কানাডার গল্প বলেছেন। জর্জেস সিমনোর বলেছেন, ‘এভরি রাইটার ট্রাইস টু ফাইন্ড হিমসেল্ফ থ্রু হিস ক্যারেক্টার’ , অর্থাৎ প্রতিটি লেখক তাঁর সৃষ্ট চরিত্রগুলোর মধ্যে দিয়ে নিজেকেই খুঁজে পান। সেভাবেই লেখক অতনু দাশ গুপ্ত তাঁর জীবনের আখ্যান তুলে ধরেছেন গ্রন্থটিতে। তাঁর ‘মাসির বাড়ির পুজো’, ‘আশীর্বাদ’, এবং ‘অনুভূতির বান্দরবান’ গল্পে পাঠক হয়তোবা লেখকের ছেলেবেলার প্রতিচ্ছবি খুঁজে পেতে পারেন। আবার ‘কফি বালিকা’, ‘চোর চোর’, ‘দস্তানা’, ‘প্রসঙ্গ সারমেয়’, ‘প্রেয়সী সিডনি’, এবং ‘লোনাপানি’ গল্পগুলোতে কানাডাতে আসা একজন নতুন অভিবাসীর অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। এতে পাঠকের মনে হতেই পারে যে হয়তোবা এইগুলো লেখক অতনুর নিজ জীবনেরই অভিজ্ঞতা কারণ ব্যক্তিজীবনে লেখক কেপ ব্রেটন ইউনিভার্সিটিতে অধ্যায়ন শেষে নোভাস্কশিয়াতে কর্মরত আছেন।
সাহিত্যের একটি আলাদা রূপ হিসেবে বয়সে অপেক্ষাকৃত নবীন ছোটগল্পের বিভিন্ন সংজ্ঞা পাওয়া গেলেও কয়েকটা বিষয়ে সমালোচকবৃন্দ একমত হয়েছেন। প্রমথ চৌধুরীর মতে ছোট গল্প ‘ছোট’ এবং ‘গল্প’; আবার এইচ জি ওয়েলস এর মতে ছোট গল্প ১০ থেকে ৫০ মিনিটের মধ্যে সে হওয়া বাঞ্জনীয়’ – এই অর্থে ‘গল্পেসল্পে কিছুক্ষণ’ বইয়ের গল্পগুলো সার্থক বলা যায়। বইয়ের ১২টি গল্পের প্রতিটিই সম্পূর্ণ গল্প এবং ১০-৫০মিনিটের মধ্যেই পাঠক পড়ে শেষ করতে পারবেন।
‘কফি বালিকা’ গল্পে দেখা যায় লেখকের সাথে পাঞ্জাবি মেয়ে হারপ্রীতের সখ্যতা। তাদের একসাথে বাসে করে কাজে যাওয়া, একই ওয়ালমার্ট স্টোরে কাজ করা, কাজের ফাঁকে খুনসুটি , কাজশেষে কফি খেতে যাওয়ার গল্প। এভাবেই হরপ্রীতের জন্য লেখকের মনের শূন্যস্থান পূরণ, হারপ্রীতকে নিয়ে লেখকের দুঃসপ্ন দেখা। তারপর চরম নাটকীয়তায় গল্পের সমাপ্তি। পাঠক অবশ্যই জানতে চাইবেন তারপরের কথা। রবীন্দ্রনাথের মত অনুযায়ী ছোট গল্পের সমাপ্তি হবে এমনভাবে যেখানে পাঠকের মনে অতৃপ্তি থেকে যাবে, পাঠক জানতে চাইবে তারপর কি হলো। বইটির বাকি গল্পগুলোতেও পাঠক একই আগ্রহ অনুভব করবেন।
গল্পেসল্পে কিছুক্ষণ বইটি প্রকাশ করেছে সাফল্য প্রকাশনী, প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০২৩। বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন জ্যোতিপ্রকাশ। প্রচ্ছদে একজন পুরুষ ও একজন নারী চায়ের টেবিলে চায়ের পেয়ালা হাতে; মনে হবে তারাও হয়তো কোনো গল্পসল্পে মগ্ন। নামের সাথে নিঃসন্দেহে মানানসই প্রচ্ছদ। বইটির কাভার পেজের পরের পাতায় রাকিবা আমাতুল করিমের আঁকা একটি সাদা কালো পেন্সিল স্কেচ আছে যেখানে একজন নারী ও একজন পুরুষ সোফায় বসে কফি খাচ্ছেন। কেন দ্বিতীয় আরেকটি ছবি প্রচ্ছদের পরের পাতায় দেয়া হলো সে বিষয়ে কোথাও কিছু উল্লেখ না থাকলেও, এই ছবিটি দেখেও পাঠকের মনে হবে যেন এরারও বুঝি গল্পে মেতে আছেন।
‘গল্পেসল্পে কিছুক্ষণ’ প্রকৃত অর্থেই একটি অনবদ্য ছোটগল্পের সংকলন যা পাঠক সংগ্রহে রাখবে বলেই বিশ্বাস করা যেতে পারে। বইটির জন্য অতনু দশ গুপ্তকে অভিনন্দন জানাই। বইটির ভূমিকায় লেখক লিখেছেন, ‘মূলত চার্ ধরনের ব্যক্তিদের নিয়ে লিখবো ভেবেছিলাম। এনারা হলেন ফাঁসুড়ে জল্লাদ, ডোম, ম্যানহোলের পরিচ্ছন্নতা কর্মী, এবং দালান অট্টালিকার ঝুলন্ত পটুয়া’। বইটির একটি গল্পও এদের নিয়ে লেখা নয়। কাজেই পাঠক অপেক্ষায় থাকবে এই চার ধরনের ব্যক্তিদের জীবনের গল্প জানার জন্য। আশা করি লেখক তাঁর পাঠকদের নিরাশ করবেন না।
সামিনা চৌধুরী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর অধ্যাপনা পেশায় যুক্ত হন। সরকারি কলেজে অধ্যাপনাকালে বাংলাদেশ ইউনেস্কো কমিশনেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সালে যুক্ত হন ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ে। দেশে-বিদেশে সামিনার মোট নয়টি পিয়ার রিভিউ প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে কানাডায় অভিবাসী সামিনা পাঁচ বছর ধরে টিডি ব্যাংকে কাস্টমার কেয়ার বিভাগে কাজ করছেন।